এই যে মেয়েটির ছবি দেখছেন, তিনি বলিউডের নামি নায়িকা। আশির দশকে যাকে বলে রাজত্ব ছিল তাঁর সিলভার স্ক্রিনে। বহু পুরুষের ‘ড্রিম গার্ল’ ছিলেন তিনি। যদিও নিজে প্রেমে পড়েন বলিউডেরই এক বিবাহিত নায়কের। নিজের স্ত্রী-পুত্রদের ছাড়তে রাজি ছিল না সেই নায়ক। ফলে ইসলাম গ্রহণ ও প্রথম স্ত্রী থাকতেই দ্বিতীয় বিয়ে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন, কার কথা হচ্ছে?
জিতেন্দ্রর সঙ্গে পরিবারের থেকে বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল হেমা মালিনির। তবে তিনি ভালোবেসে ফেলেন চার সন্তানের বাবা ধর্মেন্দ্রকে। ১৯৮০ সালের ২ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন হেমা আর ধর্মেন্দ্র। তবে এই বিয়ে এত সহজ ছিল না। প্রথম স্ত্রী ও পরিবারকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না ধর্মেন্দ্র। ফলে ইসলাম গ্রহণ করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ৬ বছরের সহবাস, তারপর বিয়ে! বেলুন সাজানো খাটে মিলনের ১ মাস উদযাপন রাতুল-রূপাঞ্জনার, সঙ্গী রিয়ান
ধর্ম বদলে হেমা ও ধর্মেন্দ্রর নাম হয়েছিল দিলাওয়ার খান ও আয়েশা খান। নিকাহ সম্পন্ন হলেও, কোনওদিন পাকাপাকিভাবে একসঙ্গে থাকেননি ধর্মেন্দ্র-হেমা। এমনকী এখনও বর্ষীয়ান অভিনেতা থাকেন তাঁর প্রথম স্ত্রী-র সঙ্গেই।
আরও পড়ুন: ‘এদিকে শ্রীদেবী, ওদিকে যোগিতা…’, মিঠুনের ‘পরকীয়া’-র গুঞ্জনে মুখ খুললেন ‘প্রাক্তন’ মমতা শঙ্কর
প্রকাশ কৌর ও ধর্মেন্দ্রর চার সন্তান- সানি দেওল, ববি দেওল এবং দুই মেয়ে বিজেতা ও অজিতা। অন্য়দিকে হেমা ও ধর্মেন্দ্রর দুই কন্য়া- এষা দেওল এবং অহনা দেওল।
এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে না থাকা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন হেমা। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘কোনও মেয়েই চায় না যে তার সঙ্গে এরকম ঘটুক। তবে মেনে নিতেই হয় যে এটি হয়েছে এবং এগিয়ে যেতে হয় জীবনে। সব মহিলাই একটি সাধারণ পরিবার, স্বামী এবং সন্তান কামনা করে, কিন্তু সবসময় তো আর জিনিসগুলি পরিকল্পনা অনুযায়ী হয় না!’
আরও পড়ুন: ‘আমি তো কানপুরের, তুমি এদিককারই’! সারেগামাপা-য় অনির্বাণের গলায় গান শুনে টিপ্পনী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের
‘আমার এগুলো নিয়ে কোনও খারাপ লাগা নেই। আমার দুই সন্তানকে খুব ভালোভাবে মানুষ করেছি। ওকেও (ধর্মেন্দ্র) সবসময় পাশে পেয়েছি’, আরও বলেছিলেন হেমা।
তবে কিছুদিন আগেই হেমার বড় মেয়ে এষার ডিভোর্সের খবর আসে। চলতি বছরেই হিরে ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে বিচ্ছেদের খবরে শিলমোহর দেন অভিনেত্রী। আপাতত দুই কন্যা সন্তান নিয়ে মায়ের কাছেই রয়েছেন তিনি। তাঁদের ১১ বছরের বিয়ে ভাঙা, অনেকের কাছেই ছিল বিষ্ময়। তবে দেওল পরিবার এরপর জানান, মেয়ের সিদ্ধান্তে পাশে আছেন হেমা ও ধর্মেন্দ্র দুজনেই।