সম্প্রতি 'প্রজেক্ট কে'র শ্যুটিংয়ে পাঁজরে আঘাত পেয়ে গৃহবন্দী রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। তবে শ্যুটিং করতে গিয়ে এর আগেও বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন অমিতাভ। সে আঘাত তাঁকে মৃত্যু-মুখীও করে দিয়েছিল। সালটা ছিল ১৯৮৩, মুক্তি পেয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের সুপারহিট ছবি 'কুলি'। ১৯৮২ সালে ২ অগস্ট সেই ছবির সেটেই গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন অমিতাভ। এমনকি অস্ত্রোপচারের পর ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করা হয়েছিল তাঁকে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
১৯৮২ সালে ২ অগস্ট, ব্যাঙ্গালোর ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অভিনেতা পুনীত ইসারের সঙ্গে অমিতাভের মারপিটের দৃশ্যের শ্যুটিং চলছিল। সেসময় লাফ দিতে গিয়ে একটু ভুলে পেটে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন অমিতাভ। ভয়ানক রক্তপাত হতে শুরু হয়। অমিতাভ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একবার সেই ঘটনা নিয়েই সিমি গারেওয়ালের শোয়ে মুখ খুলেছিলেন বিগ বি।
অমিতাভ বলেন, ‘আমি কোমায় ছিলাম। সেটে দুর্ঘটনায় আমার অন্ত্র ফেটে গিয়েছিল। তারপরে জরুরী ভিত্তিতে আমার অস্ত্রোপচার হয়। আমরা ৫ দিন পরে বোম্বে (বর্তমান মুম্বই)ফিরেছিলাম। সেলাই ফেটে গিয়েছি। আমাকে আরও একটি অস্ত্রোপচার করতে হয়। এটি সেই অস্ত্রোপচারের ১২-১৪ ঘণ্টা পরও আমার জ্ঞান ফেরেনি। তখনই ওরা ভেবেছিল যে হয়ত সব শেষ। কারণ, কোনো পালস ছিল, রক্তচাপ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল।’
জয়া বচ্চন তখন বলেন, ‘আমি যখন হাসপাতালে পৌঁছলাম, তখন আমার দেওর জিগ্গেস করলেন, কোথায় ছিলে, আমরা তোমায় খুঁজছিলাম। বললাম, আমি বাচ্চাদের দেখতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। তারপর তিনি আমাকে একপ্রকার তুলে নিয়ে বললেন আগে শক্ত হতে হবে, তারপরই আমরা তোমায় কথাগুলো বলব। আমার প্রতিক্রিয়া ছিল, এটা কখনওই সম্ভব নয়, কখনওই হতে পারে না। আমার হাতে হনুমান চালিসা ছিল। ডাঃ দস্তুর পাশে এসে বললেন, ‘শুধু আপনার প্রার্থনাই সাহায্য করতে পারে। কিন্তু আমি পড়তে পারিনি, কারণ দেখলাম ওঁরা হার্টে পাম্প করছে, ইনজেকশন দিচ্ছে। ওঁরা যখন হাল ছেড়ে দিল, আমি তখন ওর পায়ের আঙুল নড়তে দেখলাম। আমি চেঁচিয়ে বললাম, ওই তো নড়ছে। তারপর ধীরে ধীরে ওঁর জ্ঞান ফিরল।’
প্রসঙ্গত ১৯৭৩ সালে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন-জয়া বচ্চন। ৩ জুন শনিবার আজ তাঁদের ৫০ তম বিবাহবার্ষিকী।