বলিপাড়ায় একসময় অন্যতম চর্চার বিষয়ছিল করিনা কাপুর ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ‘ টক-ঝাল-মিষ্টি ‘ সম্পর্ক। মাঝেমধ্যেই পরস্পরের সঙ্গে তিক্ততার সম্পর্কের আঁচ প্রকাশ পেত প্রকাশ্যেই। বিশেষ করে ছোটপর্দার জনপ্রিয় টক শো ‘ কফি উইদ করণ ‘-এ।২০১২ সালে শোয়ের অতিথি করিনাকে হোস্ট করণ প্রশ্ন করেন ‘ জাতীয় পুরস্কার ‘ নিয়ে তাঁর মনোভাব। কারণ বেবো তাঁর কেরিয়ারে তখনও জাতীয় পুরস্কার না জিতলেও ' ফ্যাশন ' ছবির জন্য ততদিনে নিজের ঝোলায় একটি জাতীয় পুরস্কার ভরে ফেলেছেন ' পিগি চপস '। বেবোর জবাব ছিল, তাঁর জাতীয় পুরস্কারের কোনও প্রয়োজন নেই। ভিড় জমিয়ে সিনেমা হলে দর্শক তাঁর ছবি দেখতে আসুক এবং সেই ছবি দেখে তাঁরা যেন আনন্দ পান। এটুকুহ লেই তাঁর কাছে যথেষ্ট বলে জানিয়েছিলেন করিনা । এরপর প্রিয়াঙ্কার উদ্দেশে করিনার জিজ্ঞাসা ছিল তিনি জানতে চান কোথা থেকে প্রিয়াঙ্কা তাঁর ইংরেজি উচ্চারণ শিখেছেন ?
এরপর জল গড়ায় অনেকদূর। পরের এপিসোডে প্রিয়াঙ্কা এসে করিনার করা ওই প্রশ্নে জবাবে বলেন,' ঠিক সেই একই জায়গাথেকে যেখান থেকে ওঁর বয়ফ্রেন্ড ইংরেজি শিখেছেন।' উল্লেখ্য, সেই সময়ে সইফ আলি খানকে ডেট করছিলেন করিনা। এখানেই না থেমে ' জাতীয় পুরস্কার ' পাওয়া নিয়ে করিনার করা মন্তব্যে টিপ্পনি কেটে প্রিয়াঙ্কা সপাটে জানিয়েছিলেন, ' জাতীয় পুরস্কার না জিতলে তো আঙ্গুর ফল টক হবেই!'
এই ঘটনার পর দু'জনের মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময় হয়েছে, এমন কথা তাঁদের অতি-ঘনিষ্ঠ মহলও বলবে না। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ২০১৯ সালে ' কফি উইদ করণ ' এর শোয়ের একটি এপিসোড একসঙ্গে হাতে হাত ধরে হাজির হয়েছিলেন করিনা-প্রিয়াঙ্কা।পুরোনো কাসুন্দি ঘেঁটে করণ প্রশ্ন তুললে করিনা জানিয়েছিলেন, সেই সময়ে তাঁরা পরস্পরকে অতটাও চিনতেন না। আলাপও ছিল না সেভাবে দু'জনের। তাই বলেছিলেন। তবেপরবর্তী সময়ে দু'জনের নাকি যথেষ্ট ভালো বন্ধুত্ব হয়। সম্পর্ক হয়েছে জমাটি, দাবি করিনার।