দাম্পত্যের বয়স দু-দশক। টলিউডের ‘পাওয়ার কপল’ হিসাবেই পরিচিত যিশু-নীলাঞ্জনা। আচমকাই দুজনের দাম্পত্যে ফাটলের গুঞ্জনে খানিক বিব্রত টলিপাড়া। আজকাল বিয়ে ভাঙার হিড়িক লেগেছে, কিন্তু যিশু-নীলাঞ্জনা অনেকের চোখেই আদর্শ দম্পতি। এমনটাও ঘটেছে ইন্ডাস্ট্রির অনেক ভাঙা বিয়ে উদ্যোগ নিয়ে জুড়েছেন তাঁরা। আরও পড়ুন-২২ বছর আগের দুর্গাষ্টমীতে শুরু প্রেম, ২০ দিন আগে শেষবার একফ্রেমে যিশু-নীলাঞ্জনা!
আর তাঁদের ঘরই নাকি ভাঙতে বসেছে! যিশু সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে উঠেছে পরকীয়ার গুঞ্জন। গোটা বিষয় নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নীলাঞ্জনা। হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হয়েছিলেন অঞ্জনা ভৌমিক কন্যা। ইনস্টাগ্রামে যিশুর সঙ্গে প্রায় সমস্ত ছবি মুছে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা, আনফলো করেছেন স্বামীকে। খবর, কলকাতায় থাকলেও যিশু লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে থাকছেন না।
প্রকাশ্যে বিচ্ছেদ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি দুজনেই। তবে নীলাঞ্জনার ইঙ্গিতপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে তোলপাড় সর্বত্র। এই তো বছর খানেক আগের কথা। ‘লাভ বিয়ে আজকাল’-এর প্রচারের ফাঁসে দাম্পত্যের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন যিশু-নীলাঞ্জনা।
বউয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন যিশু। ইটিভি ভারতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ‘মেয়েরা তিনদিন ওকে দেখেনি। ও অফিস থেকে বেরোচ্ছে রাত দেড়টা, দুটো। সেখান থেকে সোজা হাসপাতালে যাচ্ছে। সেখানে সারারাত থাকছে। এরপর সকালে বাড়ি ফিরছে, আমরা ব্রেকফাস্টে কী খাব, লাঞ্চে কী খাব তা রেডি করছে। তারপর অফিসে চলে যাচ্ছে….এই সততার একটা দাম আছে’। যদিও বাড়তি ক্রেডিট নিয়ে রাজি ছিলেন না নীলাঞ্জনা। জানান, সংসার আর কেরিয়ার সব ওয়ার্কিং ওম্যানরাই সামলায়। সেই কারণেই মেয়েরা দশভূজা।
যিশু সেনগুপ্তর মহিলা ভক্তের সংখ্যা আজও অগুণতি। তবে সেই নিয়ে ইনসিকিউরিটিতে ভোগেন না নীলাঞ্জনা। বরং তিনি বলেছিলেন, ‘১৯ বছর পর এটা নিয়ে আর কিছু….’। বউয়ের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে যিশু বলেছিলেন, ‘তুমি যেটা বল সেটা বলে দাও, আরেকজন যদি তোমার সঙ্গে ঘর করলে বুঝত’।
এরপর নীলাঞ্জনা অকপটে জানান, ‘অভিনেতার বউ হওয়া সহজ নয়, খুব কঠিন। বিশেষত এখন, যখন ও তিনটে আলাদা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে। কলকাতাতে তো প্রায় থাকেই না। অনেক সময়ই বহু গুরুত্বপূর্ণ দিনে যিশু পাশে থাকে না। এমনটা আগে হত না।…. তাই বর পাশে থাকে না এটা তো কঠিন, বাচ্চারাও বাবাকে মিস করে। অনেক সময়ই সারাদিন পর রাতে একটা ফোন আসে, সেটা তো স্ট্রেসফুল।’
নীলাঞ্জনা বলেন, ৯-৫টা কাজ করা কাউকে কিংবা কর্পোরেট জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকা কোনও পুরুষকে বিয়ে করলে এই চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হতে হত না থাকে। চর্চা আপ্তসহায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা জেরেই নাকি ভাঙনের মুখে যিশুর সংসার। অনুরাগীরা অবশ্য চান, সব ভুল বোঝাবুঝি মিটেয়ে ফের পরস্পরের হাতটা শক্ত করে ধরুক যিশু-নীলাঞ্জনা।