মুম্বইতে আসার ও তারকা হওয়ার আগে দিল্লিতেই বড় হয়েছিলেন শাহরুখ খান। পড়াশোনা করেছিলেন দিল্লির সেন্ট কলম্বাস স্কুলে। শুধু লেখাপড়া নয়, খেলাধুলোতেও ছিলেন বেশ ভালো। এখনও মুম্বই থেকে প্রায়ই চলে যান নিজের পুরনো শহরে। ‘দ্য ইনার ওয়ার্ল্ড অফ শাহরুখ খান’ ডকুমেন্টরিতে অভিনেতাকে দেখা গিয়েছে ছোটবেলার সেই স্কুলে ফিরে যেতে, দর্শকদের স্কুল ঘুরিয়ে দেখাতে ও নিজের স্কুলজীবন নিয়ে মজার মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে।
২০১৬ সালে প্রকাশ্যে এসেছিল সেই ডকুমেন্টরির এক ঝলক। নিজের পুরনো স্কুলে শুধু ফিরেও যাননি শাহরুখ। কথা বলেছিলেন, স্কুলের কিছু পুরনো সদস্যদের সঙ্গেও। সেখানেই একজন বাদশা খানকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন দিল্লির অরেক বিদ্যালয় মডার্ন স্কুলের সঙ্গে ঝামেলার কথা। ‘মনে আছে মডার্ন স্কুলের ছেলেদের দাঁত ভেঙে দিয়েছিলে?’, যার উত্তরে একগাল হাসতে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে। স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন শাহরুখ। কথা দেন পরেরবার ছেলে Aryan-কে নিয়ে আসবেন।
২০১৮ সালে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান জানিয়েছিলেন, স্কুলে তাঁর ডাক নাম ছিল মেইল গাড়ি। কারণ তিনি, এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো দৌড়তেন। সঙ্গে তাঁর সামনের চুল সবসময় দাঁড়িয়ে থাকাও ছিল এই নামের আরেক কারণ। স্কুলে করা দুষ্টুমি নিয়ে বলতে গিয়ে শাহরুখ জানান, ‘‘আমি আমার স্কুলের শিক্ষকদের খুব বিরক্ত করতাম। একবার রসায়নের শিক্ষককে রাজি করিয়েছিলাম পরীক্ষায় আমাকে পুরো নম্বর দিতে এটা বলে, আমি তাঁর কাছে সন্তানের মতো। আমি স্কুলে মৃগী রোগীর অভিনয় করতাম। আমি অজ্ঞান হয়ে যেতাম, আর আমাকে জুতোর গন্ধ শোকাতে হত। একবার এক নতুন শিক্ষক এসেছিল স্কুলে, আমি ‘অজ্ঞান’ হয়ে যাই (অভিনয় করে)। আর স্কুলের অন্য বাচ্চারা ওঁকে বলেছিল, পায়ের সোয়েডের জুতোর গন্ধ না শুকলে আমি বাঁচব না। মনে আছে, সারাদিন খালি পায়ে ঘুরেছিলেন তিনি।’’