এ যেন পুলিশের নাকের ডগায় চুরি! শুক্র আর শনিবার আর্থার রোডের জেলে ভিড় জমিয়েছিলেন অগুণতি মানুষ। সকলেই আরিয়ানকে এখ ঝলক দেখার আশায় উপস্থিত হয়েছিলেন সেখানে। আর তার ফাঁকেই হয়ে গেল ফোন চুরি। অর্থাৎ, শাহরুখ-ভক্তদের সঙ্গে সে ভিড়ে হাজির হয়েছিলেন পকেটমাররাও। কে কোন ফাঁকে কার পকেট থেকে মোবাইল তুলে নিয়ে, কেউই টের পেলেন না তা।
শুক্রবার আর্থার রোড জেল সংলগ্ন অঞ্চল থেকে চুরি গিয়েছে ১০টি ফোন। আসলে সকলে ভেবেছিল গতকালই আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পাবেন আরিয়ান। আর তাই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। যা সামলাতে মোতায়েন করতে হয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশও। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি!
যদিও আইনি জটিলতা, জামিনের কাগজপত্র সঠিক সময়ে জেলে না পৌঁছনোয় শুক্রবার ছাড়া পাননি আরিয়ান। শনিবার সকাল ১১ টার পর ছাড়া হয় তাঁকে। আরিয়ানকে স্বাগত জানাতে মন্নতের বাইরেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ছেলের আগমনে এমনিতেই সেখানে উৎসবের আমেজ। ইতিমধ্যেই বাংলো সাজিয়ে ফেলা হয়েছিল আলো দিয়ে। আর শনিবার সেখানে উৎসবে মাতেন শাহরুখ-ভক্তরা। বাজি, প্ল্যাকার্ড নিয়ে চলে উল্লাস!
২ অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়া-গামী এক প্রমোদতরী থেকে মাদক নেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয় আরিয়ানকে। আর তারপর ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হন তিনি। প্রায় ২৮ দিন কেটেছে বন্দিদশায়। ছেলের ছাড়া পাওয়ার খবর পাওয়ার পরেই হাসি ফুটেছিল শাহরুখের মুখে। শুক্রবার আরিয়ানের লিগাল টিমের সঙ্গে কিং খানের হাসি মুখের ছবি ভাইরাল হয়েছিল।