বি প্রাক থেক জানি, কৈলাশ খের, শ্রেয়া ঘোষালদের মাঝে মাঝেই নানা ভক্তিমূলক গান প্রকাশ করতে দেখা যায়। কিছু দিন আগেই গেল সরস্বতী পুজো, তাছাড়াও প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ, এই আবহে জেনে নিন সঙ্গীত শিল্পীদের ভক্তিমূলক গানের অনুপ্রেরণা সম্পর্কে।
শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত, বি প্রাক। তিনি ঘন ঘন ভক্তিমূলক গান প্রকাশের জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তিনি ও জানি 'আয়িয়ে রামজি' নামে একটি ভজন প্রকাশ করেছেন। এতে অভিনেত্রী শ্রিয়া সরনকে দেখা গিয়েছে। ইনস্টাগ্রামে বি প্রাক লেখেন, ‘আয়িয়ে রামজি... শ্রেয়া ঘোষালের সুরেলা কণ্ঠ এবং শ্রিয়া সরনের আনন্দময় উপস্থিতি আশা, ইতিবাচকতা এবং ভক্তি ছড়িয়ে দেবে।’
তাছাড়াও, গায়ক জানি কয়েক মাস আগে 'শিবায়া' নামে একটি ভজন প্রকাশ করেছিলেন। গানটি গেয়েছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ। জানি বলেছেন যে, এটি ‘আমার মনের খুব কাছের একটি গান, আমার প্রার্থনা। আমার উদ্বেগ ও হতাশায় ভরা অন্ধকার সময়ের মধ্য দিয়ে এই গানের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এটি মহাদেবের কাছে আমার আন্তরিক প্রার্থনা।’
আরও পড়ুন: 'ইন্ড্রাস্টি আমাকে খরচার খাতায় ফেলে দিয়েছিল, সেই সময়…', মায়ানগরের প্রিমিয়ারে অকপট শ্রীলেখা
বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোয় সরস্বতী বন্দনা প্রকাশ করেছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল। এই গানটির সুর করেছেন তিনি ও কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়। শ্রেয়া তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘বসন্ত পঞ্চমীর উপলক্ষে আমি একটি সুন্দর সরস্বতী বন্দনা প্রকাশ করছি। আমি অনেক ভালবাসা দিয়ে তৈরি করেছি গানটি। মা সরস্বতীর আশীর্বাদে ২০২৫ সাল শুরু হোক।’
কৈলাশ খের একটি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে এসেছেন। সেখানে আধ্যাত্মিক স্থান নিয়ে নানা পর্ব দেখা যায়। বিহারের পাউনরার মুণ্ডেশ্বরী মন্দির এবং তামিলনাড়ুর কুম্বকোনামের শ্রী সারঙ্গপানি স্বামী মন্দির থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্রের নাসিকের রামকুণ্ড ও সুন্দরনারায়ণ মন্দির এবং কর্ণাটকের শ্রীঙ্গেরি শারদম্বা মন্দির সহ নানা আধ্যাত্মিক জায়গার গুরুত্ব বর্ণনা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: 'এরা টুপি পরায়…', টলিপাড়ার ‘কাস্টিং এজেন্সি’ নিয়ে সরব হলেন শ্রুতি, কী দাবি তুললেন তিনি
তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আধ্যাত্মিক সঙ্গীত আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই আমাদের ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলোকে শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমাদের এখানকার মন্দির ও আশ্রম নিয়ে স্টোরি বানানো খুবই জরুরি। এই কারণেই আমি এই ধরনের মূল্যবান জায়গাগুলির ভিডিয়ো নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার মধ্যে এমনও কিছু জায়গা আছে যা খুব একটা পরিচিত নয়।’
মীনাল নিগম অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রথম বার্ষিকী এবং প্রয়াগরাজে চলা মহাকুম্ভ মেলার আবহে গত এক মাসে মীনাল নিগম পাঁচটি ভক্তিমূলক প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘গায়ত্রী মন্ত্র’, ‘নাম রামায়ণ’, ‘রাম রাম রাটতে রাটতে’, ‘রামষ্টকম’ এবং ‘মহাকুম্ভ কি মহিমা’। এই প্রসঙ্গে মীনাল বলেন, ‘আমার মা খুব আধ্যাত্মিক মানুষ ছিলেন। তাঁর কারণেই আমাদের বাড়িতে সব সময় এই আবহ থাকত। ভজন সবসময়ই আমার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটি আমাকে শক্তি যোগায়।
গায়ক সোনু নিগমের বাড়িতে ছিলেন গায়ক গৌরা বাণী ও তাঁর গানের দল। তিনি তাঁর ফিউশন মন্ত্র সঙ্গীত এবং একজন কৃষ্ণ ভক্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গৌরা হারমোনিয়াম বাজিয়ে একাধিক ভজন গেয়েছেন। সোনু নিগমও তাঁর সঙ্গে গেয়েছিলেন।
আগামী কয়েকদিন প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে বেশ কয়েকজন সঙ্গীত শিল্পীকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে। গায়িকা কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, সুরেশ ওয়াদকর ও হরিহরণ পারফর্ম করবেন। গত মাসে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় সুরকার-গায়ক শঙ্কর মহাদেবন পারফর্ম করেছিলেন।