গত ২৫ দিন ধরে হেফাজতে আরিয়ান খান। এক কোর্ট থেকে অন্য কোর্টের দরজায় জামিনের জন্য কড়া নাড়ছেন শাহরুখ খান পুত্র, তবে মাদক-কাণ্ডে কিছুতেই স্বস্তি মিলছে না! ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও সেশন কোর্ট খারিজ করেছে তারকা-পুত্রের জামিনের আবেদন। আপতত বম্বে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারাধীন আরিয়ানের জামিনের আবেদন। বুধবার দ্বিতীয় দফার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছে সেই আর্জির শুনানি। তবে গতকালই ক্রুজ ড্রাগ পার্টি মামলার অপর দুই অভিযুক্ত অভিন সাহু এবং মণীশ রাজগারিয়া-কে জামিনে মুক্তি দিয়েছে সেশন কোর্ট। কোর্ডেলিয়া ক্রুজ থেকে গ্রেফতার এই দুজন-কে কেন অচিরেই অব্যাহতি দিল সেশন কোর্ট? কেন আরিয়ান, আরবাজ, মুনমুন ধামেচাদের জামিন না-মঞ্জুর করল একই আদালত?
সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে স্বয়ং এনডিপিএস কোর্টের বিস্তারিত রায়। সেখানে স্পষ্টত উল্লেখ রয়েছে ওড়িশার বাসিন্দা অভিন সাহু এবং মণীশ রাজগারিয়া-র বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ষড়যন্ত্র এবং প্ররোচনার মতো গুরুতর অভিযোগ আনেনি কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আদালত জানিয়েছে বৃহত্তর কোনও মাদকপাচারকারী দলের সঙ্গে এই দুজনের কোনও যোগসাজশ রয়েছে এমন কোনও অভিযোগ নেই, তাই এই মামলার বাকি অভিযুক্তদের থেকে এঁদের ব্যাপারটা আলাদা। এখানে ষড়যন্ত্রের কোনওরকম প্রশ্ন নেই।
জবাবদাতা (এনসিবি) এমন কোনও প্রমাণ সামনে আনতে ব্যর্থ হয়েছে যা এই মামলার অপর অভিযুক্তদের সঙ্গে জামিনের আবেদনকারীর কানেকশন স্থাপনের জন্য যথেষ্ট। এমনকি অভিযুক্তর বিরুদ্ধে এমন প্রমাণও নেই যার দ্বারা সে বৃহত্তর ড্রাগ নেটওয়ার্কের অংশ বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। শুধুমাত্র ওই ক্রুজে উপস্থিত থাকবার জেরেই তাঁকে কোনও ষড়যন্ত্রকারী গ্যাং-এর অংশ বলা যেতে পারে না। অভিন সাহুর ১২ পাতার জামিনের রায়ে একথা জানিয়েছেন এনডিপিএস আদালতের বিচারক বৈভব পাটিল। মণীশ রাজগরিয়ার জামিনের রায়েও একই কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্টজের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ৮(সি), ২০বি (মাদক কেনা), ২৭ (মাদক সেবন), ২৮ (অপরাধের চেষ্টা), ২৯ ( অপরাধমূলর প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্র) এবং ৩৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনসিবি। এনডিপিএস আইনের ২৯ নম্বর ধারা খাটেনি ওড়িশার দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে, তাই এনডিপিএস আইবের সেকশন ৩৭-ও খাটবে না তাঁদের বিরুদ্ধে, সেইজন্যই নিম্ন আদালত থেকেই জামিন পেলন অভিন সাহু ও মণীশ রাজগারিয়া।