পরিচালক রাজ মেহতার 'যুগ যুগ জিও' ছবির মাধ্যমে বলিউডে কামব্যাক করছেন বর্ষীয়ান বলি-অভিনেত্রী নীতু কাপুর। গতবছর স্বামী ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর তিনি জানিয়েছিলেন এই শোক কাটিয়ে ফের একবার জীবনের স্রোতে ফিরে আসার জন্যই ক্যামেরার সামনে ফের একবার হাজির হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে আলোচনা করার ফাঁকে উঠে এলো কাপুর পরিবারের অন্দরমহলের নানা কাহিনী। এই কথাপ্রসঙ্গে নীতু জানালেন ঋষি কাপুর কীভাবে বড় করে তুলেছিলেন তাঁদের দুই সন্তান ঋদ্ধিমা এবং রণবীরকে। কোন মূল্যবোধ তাঁদের দুই সন্তানের শিক্ষার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা। ঋধিমা-রণবীরকে তিনি বুঝিয়েছিলেন 'বিলাসিতা' ভোগ করার জন্য তা অর্জন করতে হয় পরিশ্রম করে।
নীতুর কথায়,' বাবা হিসেবে কয়েকটি বিষয়ে ভীষণ কড়া ছিলেন ঋষি। রণবীর যখন বনশালিকে 'ব্ল্যাক' ছবিতে সহ-পরিচালক হিসেবে সাহায্য করছে তখন রণবীরের প্রতি ঋষির কড়া নির্দেশ ছিল শ্যুটিং সেটে তাঁকে যেতে হবে বাস কিংবা অটোয় চেপে। আমি নিজেও আমাদের মেয়ে ঋধিমাকে তাঁর স্কুল-কলেজ লাইফে কোনও ডিজাইনার ব্যাগ পর্যন্ত কিনে দিইনি। আমাদের ধারণা খুব পরিষ্কার ছিল এ বিষয়ে। ছোট অবস্থাতেই যদি বিলাসিতার প্রাচুর্য্যে সন্তানদের ডুবিয়ে রাখি তাহলে ভবিষ্যতে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে যখন তাঁরা সেসব জিনিষ তাঁদের ভালোবাসার মানুষের থেকে পাবে, সেটার যথাযথ মূল্য কিংবা সম্মান তাঁরা দিতে পারবে না। সেই বয়সে বিমানের ইকোনোমি ক্লাসে যাতায়াত করিয়েছি রণবীরকেও। সঙ্গে থাকতাম আমিও। তবে রণবীর যেহেতু তখনই অত লম্বা ছিল তাই সাধারণ সিটে তার পা আঁটতো না। উপায় না দেখে একমাত্র সেই আসনের ব্যাপারে একটু অভিযোগ জানাতো আমার ছেলে। সেই কথাটুকু আমি রাখতাম।' নিজের বক্তব্য শেষে নীতুর সংযোজন,' আমার মনে হয় সেই কড়া হওয়াটা দরকারি ছিল। মূল্যবোধের উপলব্ধি কোড়ানোটাও সমান জরুরি ছিল। আমি যদিও বা একটু নরম সরম ছিলাম ওদের প্রতি,ঋষি ছিলেন সাংঘাতিক সজাগ। এখন বুঝি ঠিকই করেছেন উনি।ঋষি আর আমি দু'জনেই চেয়েছিলাম আমাদের সন্তান যেন বড় হয়ে জীবন ও অর্থ দুইয়েরই প্রকৃত মূল্য বোঝে। সেইভাবেই বড় করেছি তাঁদের।'