পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরও পাকিস্তানী নায়িকা হানিয়ার সঙ্গে সিনেমা! ব্যান করা হতে পারে দিলজিৎকে?

দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের আসন্ন পাঞ্জাবি ছবি 'সর্দার জি ৩'-তে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির অভিনয় করবেন কিনা তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর, অবশেষে জানা গিয়েছে যে, হানিয়া আমির ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছেন। সোমবার দিলজিৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেলারটি প্রকাশ করেছেন। সেখানেই দেখা গিয়েছে যে, হানিয়া এখনও এই ছবির অংশ। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নেটিজেনরা দিলজিৎকে পাকিস্তানি অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার জন্য তীব্র সমালোচনা করেছেন। পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এবং পরবর্তীতে অপারেশন সিন্দুর সবটার পর দিলজিতের মতো শিল্পীর কাছ থেকে তাঁর অনুরাগীরা এমনটা আশা করেননি।

তবে 'সর্দার জি ৩'-এর ট্রেলার বর্তমানে ভারতে দেখার জন্য অনুপলব্ধ রয়েছে। কিন্তু ছবিটি দেশে মুক্তি পাবে না, তবুও হানিয়াকে ছবিতে নেওয়ার পদক্ষেপকে অনেকেই ‘দেশবিরোধী’ বলে মনে করছেন।

ছবিতে হানিয়ার অভিনয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক পণ্ডিত আমাদের বলেন, ‘আমরা আগে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) কে একটি চিঠি লিখেছিলাম, তাঁরা সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। অপারেশন সিন্দুরের সময় আমি হানিয়ার ট্যুইটও দেখেছিলাম। আমরা ব্যবস্থা নেব এবং প্রযোজকদের বলব যেন তাঁরা দিলজিতের সঙ্গে কাজ না করেন। দেশে সঙ্গীত এবং পাঞ্জাবি ইন্ডাস্ট্রি থেকে তাঁকে সম্পূর্ণরূপে বয়কট করা উচিত।’

পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর, ফেডারেশন ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজ করার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছিল যা ২০১৬ সালের উরি হামলার পরই কার্যকর করা হয়েছিল। এছাড়াও, হানিয়া আমির, আলী জাফর এবং মাহিরা খানের মতো পাকিস্তানি সেলিব্রিটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে ডিজিটাল মিউজিক অ্যালবামের কভার থেকেও তাঁদের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল- উদাহরণস্বরূপ, অভিনেত্রী মাওরা হোকেনের ছবি ‘সনম তেরি কসম’-এর পোস্টার থেকে ডিজিটাল ভাবে মুছে ফেলা হয়েছিল।