হিন্দি ছবির ইতিহাসে সর্বকালের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে থাকবে হেমা মালিনীর নাম। দক্ষ অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর মোহময়ী রূপের জন্য আসমুদ্রহিমাচল ভারতের অনুরাগীরা ভালোবেসে 'ড্রিমগার্ল'-এর তাজ পড়িয়েছিল। নিজের লম্বা বলিউড কেরিয়ারে একের পর এক সব সুপারহিট ছবি বক্স অফিসে উপহার দিয়েছেন 'বসন্তী'। সঙ্গে তাঁর ফ্যাশন সেন্স-এর জন্যেও বারেবারে খবরের শিরোনামে এসেছেন তিনি। সত্তর পেরিয়েও 'বসন্তী'-র জনপ্রিয়তা আজও অটুট।
বেশিরভাগ অনুষ্ঠানেই নানান ধরণের কাঞ্জিভরম শাড়িতে ধরা দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান বলি-অভিনেত্রী। কেরিয়ারের মধ্যে গগনে থাকাকালীনও বিভিন্ন ফিল্মি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানেও শাড়িই পরে যেতেন হেমা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা হাত ভারি কাজ করা কাঞ্জিভরম শাড়ি। অনুরাগীরা তাঁদের প্রিয় নায়িকার এই লুক পছন্দ করলেও হেমাকে কিন্তু কম বক্রোক্তি শুনতে হয়নি এই কাঞ্জিভরম শাড়ি পরার দরুণ!
ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। বলেছেন একে দক্ষিণী হওয়াতে শাড়ি পরতে তাঁর ভালো লাগত। ছোট্ট থেকেই আর পাঁচন দক্ষিণ ভারতীয় মহিলার মতো শাড়িতেও দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন তিনি। তার ওপর অভিনেত্রীর মা জয়া চক্রবর্তীও নিজের মেয়েকে একপ্রকার জোর করেই শাড়ি পরানোর অভ্যাস করিয়েছিলেন।
হেমার কথায়, 'তৎকালীন সময়ে বেশিরভাগ ছবি প্রযোজকের স্ত্রীয়েরা সব ছিলেন পাঞ্জাবি। তাই তাঁদের পোশাক ও রুচি তো আলাদা হবেই আমার তুলনায়। তাই আমাকে শাড়ি পরা অবস্থায় দেখলেই প্রকাশ্যেই ফিসফাস করে বলে উঠতেন যে, 'ওই দ্যাখো মাদ্রাজি চলে এসেছে!' প্রসঙ্গত, মাদ্রাজেই জন্ম থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন হেমা মালিনী। তবে নিজের কেরিয়ার থেকে শুরু করে জীবনে পাওয়া সাফল্যের সবটুকুই তাঁর মায়ের স্মৃতিতে উৎসর্গ করেছেন হেমা। একাধিক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গেছে আজ তিনি যতটুকু সফল হয়েছেন, তাঁর সিংহভাগ কৃতিত্বটাই ছিল তাঁর মায়ের।