অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে না চেনেন! হিন্দি টেলিভিশন ধারাবাহিক 'রামায়ণ'-এ সীতার চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান দেবিনা। তাঁর স্বামী, অভিনেতা গুরমিত হয়েছিলেন 'রাম'। পর্দার রাম-সীতার প্রেম পরবর্তী সময়ে বাস্তবে রূপ রায়। সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন দেবিনা-গুরমীত।
বর্তমানে অবশ্য দেবিনা ঘোর সংসারী। আপাতত দুই মেয়ে লিয়ানা ও দিভিশাকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁর। মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে দুই সন্তানের মা হয়েছেন দেবিনা। এই মুহূর্তে কাজ কমিয়ে দুই সন্তানকে বড় করাতেই বেশি ব্যস্ত বাঙালি অভিনেত্রী দেবিনা। এক হাতেই সবকিছু সামলাচ্ছেন তিনি। আর তাই অনেকেই দেবিনাকে প্রশংসাসূচক ভাবেই বলে থাকেন, 'যেন দশভূজা'। আর দুর্গাপুজো প্রাক্কালে, দেবীপক্ষের শুরুতে এই 'দশভূজা' বিষয়টি নিয়েই মুখ খুলেছেন দেবিনা ভট্টাচার্য।
'দশভূজা'
দেবিনার বিশ্বাস, নারীরা সত্য়িই দুর্গার মতো দশভূজা। একা হাতে সবকিছু অনেক কাজ তাঁরা সামলান। তাই মনে হয়, যেন তাঁদের ১০টা হাত। নারীরা সত্যিই দশভূজা। তবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে আজকাল আর মেয়েদের একসঙ্গে একাধিক কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে হ্যাঁ, আমার মধ্যেও শক্তি আছে, এটা সত্যি। আমার ভুল, ত্রুটি, নিখুঁত হওয়া, অপূর্ণতা সবকিছুই রয়েছে, আর এই সবকিছু নিয়েই আমি নিজেকে গ্রহণ করেছি। আমি আমার দুই মেয়ে লিয়ানা ও দিভিশাকেও নিজেকে নিজের মতো করে গ্রহণ করার শিক্ষা দেব।'
আরও পড়ুন-পুজো উদ্বোধনে গিয়ে ছবি আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী, দর্শক সুদীপার ছেলে আদিদেব, কী বলছে নেটপাড়া?
‘শক্তির আরাধনা’
দেবিনার কথায়, ‘আমরা সবসময় নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করি, অন্য কারোর মতো হওয়ার চেষ্টা করি, তবে আমার মনে হয়, সর্বপ্রথম নিজেকে নিজের চোখে নিখুঁত হতে হবে।’ দেবিনা বলেন, ‘প্রত্যেকবার যখন পুজোতে অঞ্জলি দিই, তখন একটা প্রার্থনাই করি, যে আমাকে শক্তি দিতে। শক্তিই তো সব, এটা থাকলেই আপনি সফল হতে পারবেন।’
‘পুজোর কেনাকাটা’
দেবিনা বলেন, বাঙালি হিসাবে প্রত্যেক বছরই আমায় মেয়েদের জন্য পুজোর কেনাকাটা আমি অবশ্যই করি। আমি তো একজন বাঙালি, সেটা ভুলি কীভাবে! আমার মেয়েরাও মিনি বাঙালি। এছাড়াও আমার কাছে পুজোর ভোগ, প্রসাদ, অষ্টমীর অঞ্জলি, সন্ধ্য আরতি,আর পুজোর আগে ঘর সাজানো এসব মাস্ট '। প্রত্যেরবার আমি মুখার্জি বাড়ির পুজোতে যাই, সেখানেই অঞ্জলি দিই, ভোগ খাই। আসলে আমি পুজোর সময় ছোট থেকে মাকে যেটা করতে দেখেছি, সেটাই করি। আমিও তো এখন মা। আর সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্কই সবথেকে মূল্যবান। আমি মা হওয়ার পর মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা আমার আরও বেশি বেড়ে গিয়েছে।