আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরে শেষ হয়ে যাবে মহাকুম্ভের মেলা। ১৪৪ বছর পর যে মহাযোগ তৈরি হয়েছিল, তা শেষ হয়ে যাবে এই শিবরাত্রির দিন। দেশ-বিদেশ থেকে নামিদামি ব্যক্তিত্বরা ত্রিবেণী সঙ্গমে এসেছিলেন পূণ্যস্নান করতে। স্নান করতে এসেছিলেন গোটা আম্বানি পরিবার।
মহাকুম্ভ ত্রিবেণী সঙ্গমে পরিবারের সকলকে নিয়ে যখন স্নান করছিলেন মুকেশ আম্বানি, ঠিক তখনই সেখানে উপস্থিত এক মহিলা সেই মুহূর্তের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন। কয়েক মিটার দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই মহিলা। আম্বানিদের এত কাছে দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি জনৈক ওই মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিগুলি পোস্ট করেছেন।
আম্বানিদের ছবি পোস্ট করে ওই মহিলা লিখেছেন, জীবন সত্যি ভীষণ অপ্রত্যাশিত। আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি যে আম্বানিদের এতটা কাছ থেকে দেখতে পাব আমি। তবে তারা যে আগে থেকেই ঈশ্বর আশীর্বাদ প্রাপ্ত তা বলাই বাহুল্য। গোটা পরিবারের প্রত্যেক সদস্য ঈশ্বরপ্রেমী মানুষ।
ওই মহিলা আরও লেখেন, আমি আগে থেকে কিছুই জানতাম না, এখানে উপস্থিত হওয়ার পর দেখলাম ওনাদের। দূরে থাকা সত্ত্বেও একসঙ্গে স্নান করার এই অনুভূতি সত্যিই অনবদ্য। ঐশ্বরিকভাবে ওদের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভীষণ আনন্দ লাগছে। উনি আমাদের দিকে তাকিয়ে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন হাতজোড় করে।
রসিকতার সূরে ওই মহিলা আরও লেখেন, একসঙ্গে পুণ্য স্নান করার পর যদি কিছুটা ওনাদের মতো ধনী হতে পারি তাহলে আরও ভালো লাগবে। আম্বানি পরিবারের প্রত্যেকে ঈশ্বরকে প্রসাদ হিসেবে যে আপেলগুলি উৎসর্গ করেছিলেন, এগুলি ভাসতে ভাসতে আমাদের ঘাটে এসে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: ‘ভ্যালেন্টাইন পার্টিতে একটু দেরি হল.. আমরা ব্যস্ত ছিলাম’! বাবা-মা হচ্ছেন পরমব্রত-পিয়া
আরও পড়ুন: 'পারমানেন্টলি তোমার…', প্রেম দিবসে কাঞ্চনকে কী বার্তা কচি বউ শ্রীময়ীর?
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মা কোকিলাবেন, ছেলে আকাশ এবং অনন্ত, পুত্রবধূ শ্লোকা এবং রাধিকাকে নিয়ে গিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি। সঙ্গে ছিল আকাশ এবং শ্লোকার সন্তান পৃথিবী এবং বেদ। চার প্রজন্মকে নিয়ে পুণ্য তিথিতে পবিত্র স্নান করেছিলেন আম্বানি পরিবারের কর্তা।