এখনও সেই দিনটা মনে আছে মৌমিতা চক্রবর্তীর। ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী’-র সেটে জ্বর আসায় মেকআপ রুমে এসে দেখা করেছিলেন। ওষুধের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। সেই হাসিখুশি 'ব্যোমকেশ বক্সী' সুশান্ত সিং রাজপুত আর নেই, তা কিছুতেই মানতে পারছেন না মৌমিতা চক্রবর্তী।
একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে মৌমিতা জানান, ২০১৪ সালে ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী’-র সেটে সুশান্তের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়েছিল। ব্যোমকেশ বক্সীর প্রাক্তন প্রেমিকা লীলার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত সেই সিনেমায় প্রথম বলিউডে হাতেখড়ি হচ্ছিল মৌমিতার। ফলে প্রথমে বেশ ভয় ছিল। সুশান্তের মতো তারকার সঙ্গে কাজের আগে নার্ভাসও লাগছিল। তা কাটাতে সাহায্য করেছিলেন সুশান্তই। প্রথমদিন শটের তিনি অভয়বাণী দেন বলে জানান মৌমিতা।
সেই আলাপটা শুটিংয়ের পরও ছিল। পরে মৌমিতা জানান, মুম্বইয়ে যাওয়ার পর সুশান্তের সঙ্গে কথাও হয়েছিল। কী কাজ করছেন, সুরক্ষিত রয়েছেন কিনা, সেই খোঁজ নিতেন সুশান্ত। অডিশন দিতে যাওয়ার আগে সুশান্তের থেকে জেনে নিতেন, জায়গাটা ভালো কিনা।
ইতিমধ্যে ২০১৫ সালে মুম্বই ছেড়ে কলকাতায় আসার সিদ্ধান্ত নেন মৌমিতা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে বাসস্ট্যান্ডে দেখা করেছিলেন সুশান্ত। সেকথা যেন আজও চোখের সামনে ভাসছে মৌমিতার। তাঁর কথায়, 'সুশান্ত বলেছিলেন, মুম্বই কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয় না। যাস না।' কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারণে কলকাতায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন মৌমিতা।
আর সেই মোটিভেটর মানুষটাই এত তাড়াতাড়ি চলে গেলেন, তা কিছুতেই মানতে পারছেন না মৌমিতা। তিনি বললেন, ‘লীলা কোনওদিনই মানবে না ব্যোমকেশ আর নেই।’
এদিকে, ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী'-তে সুশান্তের সঙ্গে অভিনয় করা আরিয়ান শোকপ্রকাশ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি বলেন, ‘আপনি আমার হৃদয়ে সর্বদা থাকবেন। নিজের শিল্পের মাধ্যমে আমার মতো এক তরুণ অভিনেতাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সঙ্গে রুপোলি পর্দা শেয়ার করা অত্যন্ত সম্মানের।’