সম্প্রতি ‘ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’ সিরিজে মাহিপ কাপুর বলেছিলেন তিনি টাইপ ১ ডায়বিটিসে আক্রান্ত। ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবসে ফের আরও একবার নিজের জীবনের সেই কঠিন সময়ের কথা তুলে ধরলেন তিনি। জানালেন, কতটা কষ্টকর ছিল সেই সময়টা।
মাহিপ বলেন, ২০২২ সালে যখন প্রথম এই রোগটি নির্ণয় হল, তখন আমি ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আমার পরিবারের কারোর ডায়াবিটিস ছিল না। আমি বেশ কিছুদিন আইসিইউতেও ছিলাম। স্বামীর সঙ্গেও তখন বেশ অশান্তি চলত। সবকিছুই যেন হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল।'
(আরও পড়ুন: 'কত অসংখ্য মানুষের শ্রম, অসংখ্য দর্শক...' মাচা শো-কে অবজ্ঞা-তাচ্ছিল্য? ট্রোলারদের কড়া জবাব সুরজিতের)
মাহিপ আরও বলেন, ‘একদিন আমি স্থির করলাম এই সমস্যা থেকে আমাকেই বের হতে হবে। আড়াই বছর হয়ে গেছে আমি নিয়মিত ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে, ইনসুলিন নিয়ে এবং নিয়ন্ত্রিত খাবার খেয়ে বেশ ভালোই আছি। ডায়াবিটিস রোগীদের সুস্থ থাকার সবথেকে বড় অস্ত্র হলো ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিদিন ব্যায়াম। আমি এই দুটি জিনিসের ওপরই বেশি নজর দি।’
সঞ্জয় ঘরণী বলেন, ‘আমার রক্তে শর্করাকে বাড়িয়ে দেয় যে খাবারগুলি সেগুলি আমি আমার ডায়েটে রাখি না, যেমন ফল ও চিনি। তবে এখন আমার স্বামী এবং দুই সন্তান আমার ওপরে কড়া নজর রাখে। আমি কাজে ব্যস্ত থাকলেও তারা আমাকে মেসেজ করে খবর নেয় আমি খেয়েছি কিনা। সঞ্জয় আমার ডায়েট চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করে।’
(আরও পড়ুন: একফ্রেমে টোটা-রাইমা-অনির্বাণ, আসছে 'চালচিত্র দ্য ফ্রেম ফ্যাটাল', কেমন এই গল্প?)
মাহিপের মতে, ‘টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু ডায়াবিটিসের মধ্যে কী পার্থক্য সেটা অনেকেই জানেন না। টাইপ ২ অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারার ফলে তৈরি হয় কিন্তু টাইপ ১ ডায়াবিটিস একটি অটো ইমিউন রোগ, যা আপনার শরীরে ইনসুলিন তৈরি করতে দেয় না। এটি মানসিক চাপের ফলেও তৈরি হতে পারে।’