কেকেআরের তিন নম্বর আইপিএল ট্রফি জয়ের ঘোর যেন কিছুতেই কাটছে না সুহানা-অনন্যাদের। এ কথা অস্বীকার করার জো নেই, গোটা সিজন জুড়ে নাইটবাহিনীর সবচেয়ে বড় চিয়ার লিডারের ভূমিকা পালন করেছেন শাহরুখ কন্যা। বন্ধু সুহানার সঙ্গ দিয়েছেন তাঁর দুই BFF শানায়া কাপুর ও অনন্যা পান্ডে। সেলিব্রেশনের মামলাতে পিছিয়ে থাকলেন না তাঁরা।
রবিবার রাতভর চলেছে পার্টি। সেখানে কেকেআরের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে লাইমলাইট কাড়লেন ত্রিমূর্তি। আইপিএলের ট্রফি জড়িয়ে একসঙ্গে পোজ দিলেন শানায়া-সুহানা-অনন্যা। হু হু করে ভাইরাল সেই ছবি। ছবিতে শানায়া কাপুরের দেখা মিলল কালো বডিকোন গাউনে, কমলা অফশোল্ডার গাউনে পোজ দিলেন অনন্যা। নীল রঙা শরীর চাপা ককটেল ড্রেসে সেক্সি লুকে আগুন ঝরালেন সুহানা।
ছবির ক্যাপশনে শানায়া লেখেন, ‘আমরা জিতেছি’। ছবির কমেন্ট বক্সে একগুচ্ছ পার্পেল হৃদয়ের ইমোজি জুড়ে দেন সুহানা খান। তবে ‘আমরা জিতেছি’ ক্যাপশনের জন্য ট্রোলের মুখে পড়েন শানায়া। একজন লেখেন, ‘কেকেআর টিমে শানায়াও খেলেছে জানা ছিল না, কিংবা ওর কলকাতার সঙ্গে কানেকশন আছে বলেও জানি না’। পার্টির ছবি শেয়ার না করলেও কেকেআরের জয় নিয়ে সোমবার গভীর রাতে পোস্ট এল সুহানার তরফে। চিপস স্টেডিয়ামে পোস্ট ম্যাচ সেলিব্রেশনের কিছু বাছাই করা মুহূর্ত ইনস্টায় শেয়ার করে শাহরুখ-গৌরী কন্যা লেখেন, ‘অপেক্ষা সার্থক’।
এই জয়ের মুখ দেখতে দীর্ঘ ১০ বছর অপেক্ষা করেছেন শাহরুখ খান। ২০১৪ সালে শেষবার আইপিএল ট্রফি উঠেছিল কেকেআরের হাতে।
আইপিএল ট্রফি নিয়ে সুহানা-অনন্যারা পার্টি করলেও এই ট্রফি এবার দর্শন করতে পারবেন না কলকাতাবাসী। আইপিএল ট্রফি নিয়ে শাহরুখ-গম্ভীর-শ্রেয়সদের কলকাতায় ঘোরার পরিকল্পনা বাতিল হয়েছে! হ্যাঁ, গত দু-বার ট্রফি জিতে কলকাতায় বিজয়উৎসব পালন করেছিল নাইটশিবির। ২০১৪ সালে কেকেআরের জয়ের আনন্দে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাহরুখের সঙ্গে নাচের তালে পা-ও মিলিয়েছিলেন। এবার সেই ছবি দেখা যাবে না।
বাধ সাধল লোকসভা নির্বাচন। এবিপি লাইভের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেকেআর শিবিরের তরফে অনুষ্ঠানের ছক কষে ফেলা হয়েছিল। তবে রেমাল পরিস্থিতি এবং লোকসভা নির্বাচনের জেরেই পরিকল্পনা বাতিল হয়েছে। রেমাল পরিস্থিতির জন্য একদিন পিছিয়ে উৎসবের প্ল্যান কষতেও রাজি ছিল কেকেআর, কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে রাজ্য সরকার সবুজ সংকেত দিলেও এতবড় জমায়েতের জন্য মেলেনি নির্বাচন কমিশনের অনুমতি। আগামী ১লা জুন কলকাতার একাধিক জায়গায় নির্বাচন। তার আগে এই ধরণের জমায়েত চাইছে না কমিশন।