একাধিক বিতর্কের মাঝে ১০ জুন মুক্তি পেয়েছে যশ দাশগুপ্ত-এনা সাহা অভিনীত 'চিনে বাদাম'। প্রেক্ষাগৃহে আসার আগেই শৈল্পিক মতবিরোধের কারণ দেখিয়ে ছবি থেকে সরে গিয়েছিলেন নায়ক। তা নিয়ে জলঘোলাও নেহাত কম হয়নি। দোষারোপ, মনোমালিন্য, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মাঝেই কেমন ব্যবসা করল এই ছবি?
বক্স অফিসে ধুকছে 'চিনে বাদাম'। প্রথম দিনেই ছবির অবস্থা সঙ্কটজনক। কলকাতার এক বিশিষ্ট বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, শুক্রবার মাত্র ৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে এনা সাহা প্রযোজিত এই ছবির। এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ টাকাও ভাঁড়ারে আসেনি 'চিনে বাদাম'-এর। সেই বিশেষজ্ঞের কথায়, 'ছবির হাল খুব খারাপ। অনেকগুলো শো পাওয়া সত্ত্বেও কোনও লাভ হচ্ছে না। এ ভাবে চলতে থাকলে খুব বেশিদিন প্রেক্ষাগৃহে থাকবে না 'চিনেবাদাম'।
জানা গিয়েছে, ৮৫-৮৬টি শো পেয়েছে শিলাদিত্য মৌলিক পরিচালিত এই ছবি। বেশ কয়েকটি মাল্টিপ্লেক্সেও চলছে 'চিনে বাদাম'। অনলাইন টিকিট কাটার অ্যাপ বুক মাই শো বলছে, বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহেই এই ছবির শোয়ে ভরছে না দর্শকাশন। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ' চিনেবা দাম'-এর তুলনায় ঢের ভালো ব্যবসা করছে 'বেলাশুরু', 'অপরাজিত', 'হাবজি গাবজি'র মতো ছবিগুলি।
অন্য দিকে, নাম না করেই ছবির নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যশ। শুক্রবার বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, 'যে সব মন্তব্য করা হয়েছে, তা সর্বৈবভাবে মিথ্যা ও ভুয়ো। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব, গোটা বিষয় নিয়ে আমরা আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। খুব শীঘ্রই এই ব্য়াপারে বিস্তারিত জানানো হবে।'
যাবতীয় বিতর্কের মাঝে দর্শক-মনে চাপ ফেলার আগেই কি হারিয়ে যাবে 'চিনে বাদাম'? টলিপাড়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে এমনই প্রশ্ন।