‘চিনেবাদাম’ মুক্তির মাত্র ৫ দিন আগে এই ছবির সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। শেষ মুহূর্তে এসে ‘ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্স’ কারণ দেখিয়ে ‘চিনে বাদাম’ থেকে সরে দাঁড়ান যশ। সেই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এমনকী যশের বিরুদ্ধে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ হওয়ার অভিযোগও উঠেছে পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের একটি বক্তব্যকে ঘিরে। এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন নায়ক। তবে ছবি মুক্তির দিন বোমা ফাটালেন তারকা।
শুক্রবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে যশ জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে যে মিথ্যা রটনা ছড়ানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটবার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছেন তিনি। যশ জানিয়েছেন, ‘যা বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তা সর্বৈবভাবে মিথ্যা ও ভুয়ো। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব, গোটা বিষয় নিয়ে আমরা আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। খুব শীঘ্রই এই ব্য়াপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’ যশের নিশানায় মূলত ছবির পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক।
যশের সরে দাঁড়ানো নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক বেশকিছু মন্তব্য করেছেন, যার জেরে চটেছেন অভিনেতা। ‘কালো ছেলে কে কেন আমি সিনে নাচ করাবো এসব নিয়ে যদি কারুর প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে তো আমার কিছু বলবার নেই’, পরিচালকের এহেন মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ যশ। পরিচালকের এই বিবৃতি থেকেই যশের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা মুখ বুজে মেনে নিতে রাজি নন অভিনেতা।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে যশ একটি ‘গুড লাক’ মেসেজ পাঠিয়েছিলেন অভিনেত্রী-প্রযোজক এনা ও পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিককে। তারপর রবিবার সকালে টুইটারে সরে দাঁড়ানোর বিবৃতি জারি করেন। কোথায় যশের আপত্তি? ঠিক কী বিষয় নিয়ে সমস্য়া? তা জানা নেই এনা ও শিলাদিত্য মৌলিকের।
অন্যদিকে এই ব্যাপারে ফোনে এনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভবপর হয়নি। এনার ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, টলিউডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রযোজক খুব ভেঙে পড়েছেন গোটা ঘটনায়। যশ ও নুসরত দুজনেই নাকি ফোনে ব্লক করেছেন এনাকে, কোনওভাবেই তিনি যোগাযোগ করে উঠতে পারছেন না যশের সঙ্গে। এনার পরবর্তী ছবি ‘মাস্টারমশাই আপনি কিচ্ছু দেখেননি’র নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় রয়েছেন ‘যশরত’। ছবির শ্যুটিং শেষ, বাকি পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ, সেই ছবিরই বা ভবিষ্যত কী? চিন্তায় ঘুম উড়েছে এনার।