প্রত্যাশা ছিলই, নিরাশ করেননি যশ-মধুমিতা। মুক্তির তিন দিনের মধ্যেই ‘যশমিতা’র মিউজিক ভিডিয়ো ‘ও মন রে’র ভিউ সংখ্যা ৩০ লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে। পাঁচ বছর পরে কাছে এসেও যশ-মধুমিতার দূরে যাওয়ায় কাহিনিতে কিছুটা হলেও মন খারাপ অনুরাগীদের। তবে ‘মন সইয়ে’ এই মিউজিক ভিডিয়োর নতুন পর্বের অপেক্ষায় আশায় বাঁধছেন তাঁরা।
এর মাঝেই যশ-মধুমিতার একাধিক ফ্যানপেজে ভাইরাল হয়েছে তাঁদের একাধিক অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি। যেখানে একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে রোম্যান্সে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে ‘বোঝে না সে বোঝে না’ জুটিকে। তবে মিউজিক ভিডিয়োতে এই ভিস্যুয়াল ধরা পড়েনি! আসলে সম্প্রতি প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ-এর তরফে সামনে আনা হয়েছে ‘ও মন রে’র নেপথ্যের কাহিনি। সেখানেই যশমিতার শ্যুটিংয়ের মোহড়ার এই দৃশ্য ধরা পড়েছে, তবে মূল মিউজিক ভিডিয়োতে এই দৃশ্য ছেঁটে ফেলা হয়েছে। কিন্তু কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না!
তনভীর ইভানের মাদকতা মেশানো কন্ঠস্বর আর যশ-মধুমিতার না-ভোলা রসায়ন এই গানের ইউএসপি। চার মিনিট দীর্ঘ এই মিউজিক ভিডিয়োতে একটা কাহিনি তুলে ধরেছেন পরিচালক বাবা যাদব। যদিও সেই কাহিনি কিন্তু অসম্পূর্ণ। শুরুতেই ধরা দিয়েছে মধুমিতার বিয়ের সাজানো আসর, লাল বেনারসিতে অপেক্ষায় হবু কনে। ছতনা তলায় যাওয়ার আগে পুরোনো প্রেমকে চোখের সামনে দেখে নিজের আবেগকে সামলাতে পারেনি সে। তবুও ইগো ভুলে, মিলন হল না! বদলে মধুমিতার বিয়ের পিঁড়ি ধরতে দেখা গেল যশকে। মজা করে যশ বলেই ফেললেন, 'অনেক বছর আমরা একসঙ্গে কাজ করছি, আমি মধুমিতার বিয়ে দিচ্ছি… ফাইনালি এবার আমি মুক্ত হব'।
'অভিযোগ','অভিমান' খ্যাত এই বাংলাদেশি গায়ক তনভীর ইভানের এপার বাংলায় ডেবিউ প্রোজেক্ট এটি।এই গানের মিউজিকের দায়িত্বভার সামলেছেন পীরাণ খান। তনভীরের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলতেও দেখা গেল মধুমিতাকে। গায়ক কথা দিলেন, শীঘ্রই কলকাতায় এসে সকলের সঙ্গে দেখা করবেন। গানের বিহাইন্ড দ্য সিনস ভিডিয়োয় অভিনেত্রী জানালেন ‘যশের সঙ্গে এতোগুলো দিন পর কাজ, দারুণ অভিজ্ঞতা। সত্যি ওর সঙ্গে কাজ করতে আমি এনজয় করি’।