র্যাপ দুনিয়ার সঙ্গে সকলকে পরিচয় যিনি করিয়েছিলেন, তিনি হলেন হানি সিং। বেশ কয়েকটি র্যাপ সংগীত গেয়ে একদিকে যেমন রাতারাতি তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন ঠিক তেমনই হঠাৎ করেই অন্ধকারে তলিয়ে যান তিনি। তবে এই উত্থান পতনকে উপেক্ষা করে ফের তিনি নিজেকে সামলেছেন, ফিরে এসেছেন গানের দুনিয়ায়।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর হানি সিং-এর ডকুমেন্টারি মুক্তি পায় যার নাম ছিল ইয়ো ইয়ো হানি সিং:ফেমাস। এই ডকুমেন্টারিতে হানি সিং এর জীবনের সমস্ত উত্থান পতনের ঘটনার বিবরণ দেওয়া রয়েছে, যা দর্শকদের কাছে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। এই ডকুমেন্টারিতেই হানি সিং নিজেকে একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: অক্ষয়ের দাপটে একঘরে কঙ্গনার ছবি! দুদিনেই ৩০ কোটি টপকে গেল স্কাইফোর্স, কী হাল ইমারজেন্সির?
আরও পড়ুন: 'বাবা যদি থাকতেন...' মৃত্যুর পর পেলেন পদ্মভূষণ! কী বললেন পঙ্কজ উদাসের মেয়ে?
প্রজাতন্ত্র দিবসে HT - এর সাক্ষাৎকারে দেশপ্রেম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হানি সিং বলেন, আমার কাছে সত্যিকারের দেশপ্রেম হলে প্রতিদিন বেঁচে থাকা এবং দেশকে ভালোবাসা। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ দিনে দেশকে মনে রাখা নয় বরং প্রতিদিন দেশকে ভালোবাসাই হলো দেশ প্রেম। সারা বিশ্বের কাছে আপনার দেশের সম্মান যাতে বজায় থাকে সেই কাজ করাই হলো দেশ প্রেম।
দেশাত্মবোধক গান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি ২০০৮ সালে ভগত সিং নামে একটি দেশাত্মবোধক গান তৈরি করেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি মানুষের ভালো লাগেনি। তবে হ্যাঁ, আমি আবার তৈরি করতে চাই দেশাত্মবোধক গান। আশা করি মানুষ আমাকে সমর্থন করবেন।
আরও পড়ুন: কাজ ভুলে, মাথায় টুপি, চোখে রোদচশমা পরে টেনিসে মজলেন রণবীর! ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল
আরও পড়ুন: শাহরুখকে মন্নতের জন্য ৯ কোটি টাকা ফেরত দেবে মহারাষ্ট্র সরকার! কেন?
দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করার বিষয়ে গর্ব অনুভব করে তিনি বলেন, আমি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেছি। দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেছি। আমি শিখেছি সমস্ত ধর্মের মানুষকে সমান সম্মান দিতে। ছোটবেলা থেকেই আমার মধ্যে দেশের প্রতি ভালোবাসার জন্ম নিয়েছিল।
প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উদযাপনের পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে ঠিকই কিন্তু আজও সব জায়গায় সমানভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। আগে যেমন দূরদর্শনে কুচকাওয়াজ দেখা যেত এখন তেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি দেখা যায়। উদযাপন করার ধরনে পার্থক্য এসেছে ঠিকই কিন্তু ব্যাপারটা একই রয়েছে। ছোটবেলায় গোটা পরিবারের সঙ্গে ২৬ জানুয়ারি সকালে টেলিভিশনে কুচকাওয়াজ দেখতাম। তখন বিষয়টি অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে (ককটেল) সিনেমায় আংরেজি বিট, ২০১৩ সালে পার্টি অন মাই মাইন্ড (রেস ২), ২০১৩ সালে (বস) পার্টি অল নাইট, ব্লু হ্যা পানি পানি সহ বহু গানের জন্য তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন এক সময়।