শনিবার ছিল প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা ঋষি কাপুরের ৬৯তম জন্মবার্ষিকী। এদিন তাঁর অন্যতম প্রিয় অভিনেতার স্মৃতিতে নানান অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী পুনম ধিলন। জানালেন বলিপাড়ায় কেরিয়ারের শুরুতে তাঁকে বেশ ধমকে চমকেই রাখতেন ঋষি কাপুর। মজার সুরেই অভিনেত্রী বললেন ঋষি মনে করতেন ও সবার থেকে ভালো ইংরেজি ভাষাটা জানে। তাই সামান্যতম ইংরেজি বলতে বা কোনও শব্দ উচ্চারণে ভুল করলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শুধরে দিতেন তিনি।
সম্প্রতি, এক জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুনম জানিয়েছেন তাঁর আর ঋষির মোষয়ে শুটিং সেটাই হরদম খুনসুটি চলত। তাঁর ইংরেজি বলা নিয়েও ভুল ধরতে আসতেন ঋষি। শুধু তাঁর নয়, সেটের কেউ যদি ইংরেজি বোলাতে সামান্যতম ভুল করে আর তা যদি ঋষি কাপুরের কানে যেত, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নিজের দায়িত্বে ওই ব্যক্তির ভুল শুধরোনোর কাজে উঠেপড়ে লাগতেন তিনি।

একটা সময়ের পর পাল্টা তাঁর 'নায়ক'-কে দেওয়া শুরু করেন পুনমও। হয়তো ইংরেজি শব্দগুচ্ছ নিয়ে 'স্ক্র্যাবেলস' খেলা চলছে, তার মাঝেই পুনমের ইংরেজির ত্রুটি ধরিয়ে দিতে এসেছিলেন ঋষি। বলি-অভিনেতার মেজাজেই সবার সামনে প্রকাশ্যে উল্টে তাঁকেও চোখ পাকিয়ে হাসতে হাসতে পুনম বলে উঠতেন,' বেশি বকবক করো না, বুঝলে! তুমি কিন্তু মাত্র ক্লাস টেন পাস। আর আমি কিন্তু কলেজের গন্ডি পেরিয়েছি'। অবশ্য সবটুকুই হতো মস্করার ভঙ্গিতেই। তবে ঋষি কাপুর যে তাঁর অত্যন্ত প্রিয় অভিনেতা ও বন্ধু ছিলেন সেকথা একাধিকবার বহু সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, ইয়ে ওয়াদা রহা (১৯৮২), সিতমগর (১৯৮৫), ইয়ে চাদর মৈলি, দোস্তি দুশমনি (১৯৮৬) এর মতো আরও অসংখ্য ছবিতে পর্দায় জুটি বেঁধে হাজির হয়েছিলেন ঋষি-পুনম। ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর ইনস্টাগ্রামেও ওঁর সঙ্গে নিজের একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করে শোকজ্ঞাপন করেছিলেন তাঁর ছবির নায়িকা। কাপুর পরিবারের উদ্দেশে নিজের সমবেদনাও পেশ করতে দ্বিধাবোধ করেননি পুনম।