সোশ্যাল মিডিয়াতে বরাবরই রাখঢাকহীন জসপ্রীত বুমরাহ ঘরণী। ট্রোলারদের আক্রমণের কড়া জবাব দিতে সিদ্ধহস্ত সঞ্জনা গণেশন। বিদ্রুপকারীদের অযথা প্রশ্রয় দেওয়ার পাত্রী নন তিনি তা ফের বুঝিয়ে দিলেন সঞ্জনা। এর আগেও বহুবার ঠিক এমনিভাবেই ট্রোলারদের চুপ করিয়েছেন বুমরাহ পত্নী।
টেলিভিশন প্রেজেন্টার সঞ্জনা গণেশন এদিন অ্যাডিলেড থেকে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে লাল রঙা ওয়ানপিসে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে পোজ দিতে দেখা গেল সঞ্জনাকে। খোলা চুল, মুখে মুক্তো ঝরা হাসি, পায়ে স্নিকার্স- পারফেক্ট লুকেই ধরা দিয়েছেন সঞ্জনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঞ্চালক হিসাবে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ছবির ক্যাপশনে সঞ্জনা লেখেন- ‘এই মুহূর্তে অ্যাডিলেডের আবহাওয়া খুব সুন্দর’।
সঞ্জনার এই সুস্থ-স্বাভাবিক পোস্টে লাইক দিয়েছেন অনেকেই। সঞ্জনার সৌন্দর্যের প্রশংসাও করেছেন অনেকে, তবে নেতিবাচক মন্তব্যেরও কমতি নেই।এর মধ্যেই একজন ইনস্টাগ্রাম ইউজার সঞ্জনার উদ্দেশে লেখেন- ‘ম্যাম, এতোটাও সুন্দরী তো নও কিন্তু বুমরাহকে কী করে পটালে?’ এমন প্রশ্ন দেখেই মেজাজ হারান সঞ্জনা। এই ব্যক্তি আক্রমণের কড়া জবাব দিলেন তিনি। সঞ্জনা লেখেন- ‘আর নিজে যে চপ্পলের মতো মুখ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেটার কী?’
এই প্রথম নয়, এর আগেও একইভাবে ট্রোলারদের চুপ করিয়েছেন সঞ্জনা। এশিয়াকাপ চলাকালীন বুমরাহ-র সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করেছিলেন সঞ্জনা। যা অনুরাগীদের নজর কাড়ে পুনরায়। তবে কেউ কেউ ছবিটি নিয়ে অকারণ ট্রোল করার চেষ্টা করেন বুমরাহ ও সঞ্জনাকে। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হারের পর এক নেটিজেন খারাপ ভাষায় আক্রমণ করেন বুমরাহ ও তাঁর স্ত্রীকে। বোঝানোর চেষ্টা করে, দেশ বেকায়দায় অথচ বউয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বুমরাহ। যদিও এশিয়া কাপে চোটের জন্য দলে ছিলেন বুমরাহ। এমন ট্রোলের কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন সঞ্জনা। তিনি লিখেছিলেন, ‘এটা পুরনো ছবি দেখতে পাচ্ছিস না? চোমু আদমি।’
সঞ্জনা গণেশন ২০১৩ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া পুনের ফাইনালিস্ট ছিলেন। মডেলিংয়ের সূত্রে এমটিভির জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো সপ্লিটসভিলাতেও অংশ নিয়েছিলেন। এরপর স্টার স্পোর্টসের দৌলতে ধীরে ধীরে ক্রিকেট অনুষ্ঠান সঞ্চালনার জগতে প্রবেশ। ২০২১ সালের মার্চ মাসে জসপ্রীত বুমরাহ-র সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সঞ্জনা।