নব্বই দশকের সবচেয়ে বড় চ্যাট শো ছিল রঁদেভু উইথ সিমি গেরেওয়াল। নতুন শতাব্দীর শুরুতেও জারি ছিল এই শো-এর সফর। ২০০০ সালে বড়ো পর্দায় অভিষেক হয় বচ্চন পুত্রের। বছর কয়েক পরে সিমি গেরেওয়ালের শো-তে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক। বাবার সহকর্মী সিমি গেরেওয়ালকে কী নামে ডাকবেন অভিষেক? সেই নিয়ে ফ্যাঁসাদে পড়েন তারকা।
২০০৩ সালের ‘রঁদেভু উইথ সিমি গেরেওয়াল’-এর এপিসোডের একটি বিহাইন্ড দ্য সিন মুহূর্ত সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সিমি। সেখানে দেখা যাচ্ছে সাউন্ডের মাত্রা সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে ক্রু মেম্বাররা অভিষেককে নির্দেশ দিচ্ছেন কথা বলবার। আর সাউন্ড চেক করতে গিয়ে অভিষেক বলে বসেন, ‘আমি অভিষেক বচ্চন, আর আপনারা দেখছেন ….', এরপর আশেপাশে তাকাতে থাকেন অভিষেক, শো-এর নামটি খুঁজছিলেন অভিতাভ-জয়া পুত্র তা স্পষ্ট। সিমি তাঁকে সাহায্য করেন, বলেন ‘রঁদেভু উইথ সিমি গেরেওয়াল’। এই নাম শুনে অভিষেক বলে বসেন, রঁদেভু উইথ সিমি আন্টি'।
এরপরই সিমি একদম রিজেক্ট করে দেন অভিষেকের এই ভাবনা। তিনি বলেন, ‘তুমি আমাকে আন্টি বলে ডেকো না’। এই কথা শুনে বেশ খানিকটা হতচকিত হয়ে যান অভিষেক। বাবার বন্ধুকে তবে কি বলে সম্বোধন করবে সে? সিমি ফের জিজ্ঞাসা করেন তবে কী নামে ডাকবে আমায়? অভিষেক এবার মুচকি হেসে বলেন, ‘ওপরা’ (উইনফ্রে)।
এরপরেও থেমে যাননি অভিষেক। বাবাকে নকল করে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা খেলি কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’। অমিতাভের জনপ্রিয় শো ‘কেবিসি’র সিগনেচার লাইন এটি। প্রত্যেকবার কোনও প্রতিযোগির সঙ্গে খেলা শুরুর আগে এই লাইনটি বলে থাকেন অমিতাভ। সেটি নিজের স্টাইলে বলেন অভিষেক। এইসব কাণ্ড কারখানার জেরে তাঁকে সিমি গেরেওয়ালের শো-তে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হবে এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন অভিষেক।
এই মুহূর্তটি ইনস্টায় শেয়ার করে সিমি গেরেওয়াল লিখেছেন, 'আমার প্রিয় রঁদেভু মুহূর্ত'। কমেন্ট বক্সে অভিষেকের ‘সেন্স অফ হিউমার’-এর প্রশংসা করেছেন ফারহা। এই ভিডিয়ো ক্লিপ নিজের ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করেছেন অভিষেক নিজেও। আর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ সিমি আন্টি, থুড়ি ওপরা’।