ছেলেকে সামালাতেই এখন সারাটা দিন কাটছে নুসরত জাহানের। নায়িকার নিজের কথাতেই, তাঁর রাতের ঘুম উড়েছে। প্রতিদিন ছেলের কাছ থেকে নিত্য-নতুন জিনিস শিখছেন তিনি। প্রতিদিন ঈশান যেমন একটু একটু করে বড় হচ্ছে, তেমনই মা হিসাবে অভিজ্ঞ হচ্ছেন নুসরত জাহান। নুসরত মা হতে চলেছেন, এই খবর গত জুন মাসে প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছিল সমালোচনা। নিখিলের সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে সহবাসের নাম দেন নুসরত, জানান ‘ওটা আইনত বিয়ে নয়’। প্রেগন্যান্ট নুসরতকে সারাক্ষণ আগলে রেখেছিলেন তাঁর বর্তমান সহবাস সঙ্গী যশ দাশগুপ্ত। কিন্তু যশই নুসরতের সন্তানের বাবা কিনা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি নুসরত বা যশ।
ঈশানে জন্মের সময় সারাক্ষণ নুসরতের পাশে ছিলেন সঙ্গী যশ দাশগুপ্ত। যশের সঙ্গে মিলিয়েই নুসরত ছেলের নাম রেখেছেন ঈশান (Yishaan)। শুরু থেকেই ঈশানের নামের সঙ্গে মিলে মিশে রয়েছেন যশ। বুধবার রাতে কলকাতা পুরসভায় ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেল জন্মের শংসাপত্রে নুসরত জাহান রুহির পুত্র সন্তান ঈশানের পুরো নাম লেখা রয়েছে ঈশান জে দাশগুপ্ত। পিতার নামের কলমে জ্বলজ্বল করছে দেবাশিস দাশগুপ্তের নাম। যশের আসল নাম দেবাশিস তা এতোদিনে কারুর অজানা নয়। যশই নুসরতের সন্তানের বাবা সেই তথ্য সামনে আসার পরেও তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই নুসরতকে এই বলে কটাক্ষ করছেন, ‘তবে এতোদিন নিজেকে সিঙ্গল মাদার বলে দেখনদারির কী দরকার ছিল? কেন পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রতীক হয়ে বাহবা কুড়োচ্ছিলেন নুসরত জাহান?' আবার অনেকে নুসরতের পক্ষে সওয়াল করে বলছেন, নুসরত তো কোনওদিনই দাবি করেননি তিনি সিঙ্গল মাদার। শুধু নিজের সন্তানের পিতৃপরিচয় সামনে আনেননি এতোদিন।
এই তর্ক-বিতর্ক নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রে রে কাণ্ড, তখন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পোস্ট করেন নুসরত। তিনি লালের উপর সাদা হরফে লেখেন-'তুমি সকলকে খুশি করে চলতে পারো না, তুমি কোনও নিউটেলা জার নও'।
বুধবার রাতেও একটি ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পোস্ট করেছিলেন নুসরত। সেখানে লেখা রয়েছে, 'একমাত্র তোমার বালিশই জানে তোমার গল্পের প্রকৃত স্বরূপ, অন্য কেউ তা বুঝবে না'।
সম্প্রতি এক প্রমোশ্যানাল ইভেন্টে হাজির হয়ে সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই সপাটে নায়িকার জবাব ছিল, ‘এটা একটা কঠিন প্রশ্ন, কারণ এটা কারুর চরিত্রে দাগ লাগিয়ে দেয়, বাবা জানেন বাবা কে, আমরা খুব ভালো সময় কাটাচ্ছি বাবা-মা হিসাবে। যশ এবং আমার দারুণ সময় কাটছে’।