এইমুহূর্তে বলিউডে 'স্টার কিডস'-দের মধ্যে যে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে তৈমুর আলি খান, সেকথা মনে হয় না বললেও চলে। সইফ-করিনার এই সন্তানের বয়স চার হলে কী হবে, ইতিমধ্যেই তাঁর জনপ্রিয়তার বহর দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। প্রতিবার তাঁর নতুন ছবি প্রকাশ্যে আসামাত্রই নেটমাধ্যমে মুহূর্তে হয় ভাইরাল। ছেলে তৈমুরের এহেন চাহিদা দেখে তাঁকে 'বিক্রি' করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর বাবা সইফ আলি খান! স্ত্রী করিনাকে জানিয়েওছিলেন তিনি সেকথা। শোনামাত্রই অগ্নিশর্মা হয়ে উঠেছিলেন তৈমুরের মা। প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন করিনা।
আসুন জানা যাক গোটা ঘটনা। এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখেই একথা শেয়ার করেছিলেন স্বয়ং সইফ! আর জে সিদ্ধার্থ কন্ননকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে তৈমুরের প্রসঙ্গ উঠলে এই বলি-তারকা জানান যে বহু ছবি প্রযোজকের দল তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছেন যে সইফ যেন নিজের অভিনীত ছবির প্রচারে তৈমুরকে 'ব্যবহার' করেন। এর জন্য মোটা টাকাও দিতে রাজি ছিলেন তাঁরা। সেই প্রস্তাব পেয়ে যে বেশ খুশিই হয়েছিলেন তৈমুরের বাবা সেকথা বলাই বাহুল্য। 'আরে, ওঁরা বলেছিল 'বাজার' ছবির প্রচারের সময়ে ছবিতে আমার মতো কাঁচাপাকা চুলে লুকের মতো তৈমুরকেও ওরকম একটা পরচুলা পরাতে। কিংবা 'কালাকান্ডি' ছবিতে গার্ডার দিয়ে যেমন ঝুঁটি বেঁধেছিলাম ঠিক সেরকমই ঝুঁটি তৈমুরের মাথায় বাঁধতে। আবার 'হান্টার' ছবিতে আমার নাগা সাধুর লুকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈমুরকে জটাজুটো পরচুলা পরাতে। এর জন্য বিরাট অঙ্কের টাকার প্রস্তাব রেখেছিলেন সেইসব প্রযোজকের দল', হাসতে হাসতে জানান সইফ।
সামান্য থেমে ফের বলা শুরু করেন এই বলি-তারকা। নিজের ওঅণুকরণীয় ভঙ্গিতে সঞ্চালককে জানান এই প্রস্তাব স্ত্রী করিনাকেও বলেছিলেন তিনি। অবশ্য এরপর যা হলো তা শোনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না সইফ। 'করিনা তো শুনেই রগে ফেটে পড়েছিল। চীৎকার করে বলে উঠেছিল তুমি তোমার ছেলেকে 'বিক্রি' করতে পারো না! তারপর আমাকে সরাসরি বলেছিল ছ্যাঁচড়াপানাটা যেন একটু কম করি। অবশ্য আমি একটুও দমেনি তাতে। উল্টে বলেছিলাম কিসের ছ্যাঁচড়াপানা? সবাই যখন চাইছে বিক্রি করাই যাক না তৈমুরকে!' অকপটে জানিয়েছিলেন তৈমুরের বাবা।
অবশ্য নিজের মন্তব্যের পিছনে সইফের যুক্তিও ছিল পরিষ্কার। 'ওকে তো ইন্টারনেটে সবসময়ই প্রায় লোকজন দেখছে। তাই যদি কোনও নির্দিষ্ট 'প্ল্যাটফর্মে' তৈমুরকে পেশ করা যায় এবং তার জন্য মোটা টাকাও ঘরে আসে তাহলে ক্ষতি কী? যেমন, বাচ্চাদের কোনও নামি ন্যাপি প্যাড এর কোনও ব্র্যান্ডের মুখ হিসেবে তৈমুরকে তো ব্যবহার করে যায়। সেই মোটা টাকার পারিশ্রমিকের কিছুটা অংশ যেমন তৈমুরের পড়াশোনার পিছনে খরচ করা যাবে আবার বাকি থাকা অর্থ দিয়ে একটু সুইৎজারল্যান্ডে ছুটি-টুটি কাটানো যাবে আর কী!' কথা শেষ করে ফের একচোট হেসেছিলেন তৈমুরের বাবা। তবে সইফের কোনও যুক্তিই যে করিনার কাছে টেকেনি সেকথা আর বলার প্রয়োজন রয়েছে কি?