২০০৫ সালে কমেডি ঘরানার অন্যতম একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল যার নাম ছিল 'নো এন্ট্রি'। হাস্যরসে ভরপুর এই সিনেমাটির দ্বিতীয় ভাগ মুক্তি পেতে চলেছে আগামী বছর। কিন্তু ‘নো এন্ট্রি টু’ সিনেমায় কেন দেখা যাবে না প্রথম পর্বের কাউকে, এই বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ‘নো এন্ট্রি’ খ্যাত অভিনেতা ফারদিন খান।
২০১০ সালে ‘দুলহা মিল গেয়া’ সিনেমার পর অভিনয় জগত থেকে বিরতি নিয়েছিলেন ফারদিন খান। প্রায় ১৪ বছর পর সঞ্জয় লীলা বানশালি পরিচালিত ‘হীরামান্ডি’ সিনেমার হাত ধরে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই কেরিয়ারের এই সময়ে ‘নো এন্ট্রি টু’ সিনেমায় যদি তিনি এন্ট্রি পেতেন, তাহলে সেটি কেরিয়ারের জন্য একটি লাভজনক পদক্ষেপ হতে পারত।
(আরও পড়ুন: গ্যাস নাকি মাইক্রোওয়েভ? কোনটায় খাবার গরম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো)
বলিউড হাঙ্গামার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় ফারদিন খান বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কেউ কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন বনি কাপুর।আপনারা ওনাকে ফোন করুন। ‘নো এন্ট্রি' সিনেমায় কমেডিকে ফুটিয়ে তোলার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম এবং কিছুটা হলেও সফল হয়েছিলাম। এই সিনেমাটি আমার মনের ভীষণ কাছের।'
ফারদিন খান আরও বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে ‘নো এন্ট্রি টু' সিনেমার কথা শুনছি আমরা। এই সিনেমাটি নিয়ে বনি কাপুর এবং সলমন খানের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম আমি। সিক্যুয়েলের অংশ হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলাম কিন্তু পরে যখন শুনি, পুরনো কাউকেই কাস্ট করা হয়নি, তখন ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।'
‘নো এন্ট্রি টু’ অভিনেতাদের প্রসঙ্গে ফারদিন খান বলেন, ‘বরুণ ধাওয়ান, দিলজিৎ দোসাঞ্জ এবং অর্জন কাপুরকে আমার তরফ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমি স্ক্রিপ্ট শুনেছি। আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আশা করবো প্রত্যেকেই দুর্দান্ত অভিনয় করবেন। নতুন কাস্টিং নিয়ে কেউ বিতর্ক তৈরি করবেন না দয়া করে।’
(আরও পড়ুন: লুকিয়ে ক্লাসে ঢোকার চেষ্টা, উঠল হাসির রোল, ভাইরাল আইআইটি কানপুরের ভিডিয়ো)
প্রসঙ্গত, ‘নো এন্ট্রি’ সিক্যুয়েলের কাস্টিং নিয়ে বনি কাপুরের সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল অনিল কাপুরের। যেহেতু কাস্টিংয়ের ব্যাপারটি পুরোটাই পরিচালক এবং প্রযোজক দেখেন এবং দুটি সিনেমার প্রযোজক এবং পরিচালক যেহেতু একই, তাই সকলেই ভেবেছিলেন দ্বিতীয় পর্বেও প্রথম পর্বের ব্যক্তিরা স্থান পাবেন কিন্তু তা হয়নি।