সোশ্যাল মিডিয়ায় অসমের ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং নারীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় গর্জে উঠেছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পুলিশকে নির্দেশ দেন অভিযুক্ত ইউটিউবারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশসান। কয়েকঘণ্টা যেতে না যেতেই ওই ব্যক্তি ক্ষমা চেয়ে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে, অভিষেক কর নামে অভিযুক্তর দাবি কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না। আরও পড়ুন-‘মানুষকে ছাগল বানায়, তারপর আবার মানুষ বানিয়ে সম্ভোগ করে’! দাবি ইউটিউবারের, ‘ব্যবস্থা নিচ্ছে’ অসম পুলিশ
অভিষেক করের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ইউটিউবে অবমাননাকর মন্তব্য ও ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসম পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
অভিষেক কর ইউটিউব চ্যানেলের বিবরণে নিজেকে 'ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং পরামর্শদাতা' হিসাবে পরিচয় দেন, ভবিষ্যতে 'গৌণ তথ্য' জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করার আগে তা ব্যক্তিগতভাবে নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে তিনি। রিয়া উপ্রেতির একটি পডকাস্টে আলটপকা মন্তব্যের জন্য অসম সরকারে রোষের মুখে অভিষেক। তাঁর উপর চটেছেন সে রাজ্যের জনতাও।
রিয়া উপ্রেতি নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে অভিষেক কর দাবি করেন, অসমের মরিগাঁও জেলার মায়ং গ্রামের মহিলারা তন্ত্র সাধনায় পারদর্শী, মহিলাদের এমন ক্ষমতা রয়েছে যে তারা কোনও মানুষকে ছাগলে বা অন্য পশুতে রূপান্তরিত করে রাতে আবার মানুষের রূপে ফিরিয়ে এনে সম্ভোগে লিপ্ত হয়।
আরও পড়ুন-ডাক্তার পরিবারের ছেলে, আর টুয়েলভথ পাস নয়! ইঞ্জিনিয়ারের ডিগ্রি হাতে পেলেন কার্তিক
ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আসে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (সিএমও) থেকে। এর জবাবে রাজ্য পুলিশের ডিজি জি পি সিং বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে স্যার। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অতিরিক্ত ডিজিপি (সিআইডি) মুন্না প্রসাদ গুপ্তা শনিবার পিটিআইকে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এক্স-এ সিএমও পোস্টের জবাবে অভিষেক কর লিখেছেন: ‘জনগণ, মুখ্যমন্ত্রী স্যার, জিপি স্যার-সহ প্রতিটি সংশ্লিষ্ট পক্ষের কাছে ক্ষমা চাইছি যারা আহত হয়েছেন। কাউকে আঘাত করা উদ্দেশ্য ছিল না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখব’। কর আরও বলেন যে তিনি প্রচলিত বা কানে শোনা কথা না বলে নিজের গবেষণায় আরও সতর্ক হবেন।