মূক (বোবা) ও বধিরদের নিয়ে অবমাননাকর রিল বানিয়ে গ্রেফতার এক ইউটিউবার ও এক রেডিও জকি। ধৃতেরা হলেন রোহন কারিয়াপ্পা (২৯) ও শয়ন ভট্টাচার্য (৩২)। ধৃতদের মধ্যে রোহন বেঙ্গালুরুর উল্লাল উপনগর এলাকা থেকে ও শয়ন হাল এলাকা থেকে গ্রেফাতার করা হয়। কর্ণাটক স্টেট ডেফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন শঙ্কর কেএইচের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরু পুলিশ পরিদর্শক হাজারেশ কিলেদারের নেতৃত্বে একটা দল এই দুজনকে গ্রেফতার করে।
গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সাইবার ক্রাইমের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ধৃতদের মধ্যে রোহন কারিয়াপ্পা আদপে কর্ণাটকের মাদিকেরির বাসিন্দা, যিনি বর্তমানে ইউটিউবার হিসাবে কাজ করলেও আগে রেডিও জকি হিসাবে কাজ করতেন।। আর শয়ন ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, যিনি কিনা বর্তমানে রেডিও জকি হিসাবেই কাজ করেন।
তাঁরা যে ভিডিয়ো তৈরি করেছেন, তাতে শয়ন ভট্টাচার্য একজন রাজনীতিবিদের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। অন্যদিকে রোহন কারিয়াপ্পা একজন দোভাষীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। রোহন ভিডিয়োতে শয়নের বক্তব্য় তুলে ধরার সময় তাঁর গোপনাঙ্গ ইশারা করে অশালীন ইঙ্গিত করেন। রোহন কারিয়াপ্পার ইনস্টাগ্রাম থেকে ২০ জুন ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়। যে রিলটি বহু মূক ও বধির লোকজন শেয়ার করেছিলেন। আর এরপরই দিল্লির এক সংস্থা বেঙ্গালুরু পুলিশের কাছে বিষয়টা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। কারণ বেঙ্গালুরু থেকেই রিলটি তৈরি করা হয়েছিল এবং আপলোড করা হয়েছিল।
কর্ণাটক স্টেট ডেফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন শঙ্কর কেএইচের পুলিশ কমিশনারের কাছে এই দুজনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম আইনে মামলা দায়ের করতে বলেন। শঙ্কর কেএইচের অভিযোগ, ওই দুই ব্যক্তি অশ্লীল রিল আপলোড করে মূক ও বধিরদের অনুভূতিতে আঘাত করছেন। তবে পুলিশ তৎপর হয়ে তাঁদের দ্রুত গ্রেফতার করেছে। এদিকে পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কারিয়াপ্পা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ওই রিল মুছে ফেলেছেন।