যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ধনশ্রী বর্মার ডিভোর্সে সিলমোহর পড়ে গেল। আর সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবদন অনুযায়ী, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ডিভোর্সের আবেদন দাখিল করেছিলেন চাহাল এবং ধনশ্রী। বৃহস্পতিবার তাঁরা দু'জনেই মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্যামিলি কোর্টে আসেন। আর তারপর চাহালের আইনজীবী নীতীন গুপ্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেটার এবং ধনশ্রী যে ডিভোর্সের পিটিশন দাখিল করেছিলেন, তাতে ডিক্রির অনুমোদন দিয়েছে ফ্যামিলি কোর্ট। সম্মতির যে শর্তাবলী আছে, তা তাঁরা পূরণ করেছেন বলে আদালত জানিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে চাহাল এবং ধনশ্রীর বিবাহ বিচ্ছেদে সিলমোহর পড়ে গেল বলে জানিয়েছেন ভারতীয় তারকার আইনজীবী।
ঠান্ডা যুদ্ধ চাহালের, দাবি নেটপাড়ার
আর তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার চাহাল যে জামা পরে আসেন, তা নেটিজেনদের নজর কেড়ে নিয়েছে। তাঁরা জামায় লেখা ছিল, ‘বি ইয়োর ওন সুগার স্যাডি (Be Your Own Sugar Daddy)।’ নেটিজেনদের একাংশের দাবি, বিশেষ বার্তা দিতেই ওরকম টি-শার্ট পরে আসেন চাহাল। এক নেটিজেন তো বলেন, ‘ঠান্ডা যুদ্ধ কাকে বলে? চাহালের টি-শার্টের দিকে দেখুন।’
৫ ফেব্রুয়ারি ডিভোর্সের আবেদন চাহালদের
যদিও পুরো ডিভোর্স-পর্ব বা ওই টি-শার্ট নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ভারতীয় তারকা। মুখ খোলেননি ধনশ্রীও। তবে আদালতে জমা দেওয়া পিটিশন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন চাহাল এবং ধনশ্রী। ২০২২ সালের জুনে তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁরা ডিভোর্সের আবেদন দাখিল করেন। আর ২০ মার্চ সরকারিভাবে ডিভোর্সে সিলমোহর পড়ে গেল।
কুলিং-অফ পিরিয়ড ও খোরপোষ
তারইমধ্যে ডিভোর্সের ক্ষেত্রে যাতে ‘কুলিং-অফ’ পিরিয়ড না থাকে, সেজন্যও চাহালরা আবেদন জানিয়েছিলেন। হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩ বি (২) ধারা অনুযায়ী, যদি যৌথ সম্মতির ভিত্তিতে ডিভোর্সের আবেদন দাখিল করা হয়, তাহলে মামলা দায়ের হওয়ার ছয় মাস পরে বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে ফ্যামিলি কোর্ট। ওই ‘কুলিং-অফ পিরিয়ড’ থাকে, যাতে স্বামী ও স্ত্রী পুর্নমিলন এবং মীমাংসার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে পারেন।
তবে ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, দু'পক্ষের মধ্যে সমস্যা মেটানোর কোনও সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে সেই 'কুলিং অফ পিরিয়ড'-এ ছাড় দেওয়া যায়। ফ্যামিলি কোর্ট অবশ্য সেই সময়সীমায় ছাড় দিতে অস্বীকার করেছিল। কারণ ম্যারেজ কাউন্সেলরের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সম্মতির শর্তাবলীর আংশিক পূরণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল ফ্যামিলি কোর্ট। তার জন্য চাহালকে ৪.৭৫ কোটি টাকা দিতে হত। ইতিমধ্যে ২.৩৭ কোটি টাকা দিয়েছেন চাহাল।
যদিও ফ্যামিলি কোর্টের নির্দেশের সঙ্গে বম্বে হাইকোর্ট সহমত পোষণ করেনি। হাইকোর্ট জানায়, সম্মতির শর্তাবলী মেনে চলা হয়েছে। তাই 'কুলিং-অফ পিরিয়ড' তুলে নেওয়ার যে আবেদন করেছেন চাহালরা, তাতে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়।