জাহির খান এবং সাগরিকা ঘাটগের পরিবার আলো করে এল পুত্রসন্তান। বুধবার সকালের দিকে ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার তথা লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর জাহির এবং সদ্যোজাত সন্তানের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে ‘চক দে ইন্ডিয়া’-র অভিনেত্রী বলেন, ‘ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদের সঙ্গে আমরা আমাদের প্রিয় ছোট্ট শিশু, ফতেহসিং খানকে স্বাগত জানাচ্ছি।’ আর তারপরই শুভেচ্ছায় ভেসে গিয়েছেন দম্পতি। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, আকাশ চোপড়া, আরপি সিংরা। ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের স্ত্রী দেবিশা শেট্টি, অভিনেতা অঙ্গদ বেদীরা।
‘ফতেহসিং’ নামের মানে কী?
আর জাহির ও সাগরিকার পুত্রসন্তানের নামের ক্ষেত্রে বিশেষত্ব আছে। ওনলি মাই হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফতেহসিং নামটা দুটি শব্দের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে - 'ফতেহ' এবং 'সিং'। হিন্দি ও উর্দুতে 'ফতেহ'-র অর্থ হল বিজয়। আর 'সিং'-র অর্থ হল সিংহ। অর্থাৎ 'ফতেহসিং'-র অর্থ হল 'জয়ী সিংহ'। যে নামটা সাধারণত উত্তর ভারতের মানুষ দিয়ে থাকেন বলে বিভিন্ন রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
ভিনধর্মে প্রেম করে বিয়ে করেন জাহির ও সাগরিকার
এমনিতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিয়ে হয় জাহির এবং সাগরিকার। দু'জনে আলাদা ধর্মের মানুষ হলেও একে অপরের সংস্কৃতি, রীতিনীতিকে সম্মান করেন। বিয়ের পরে জাহির বলেছিলেন, ‘বিয়ের পরে যাতে আমরা কোলহাপুরের আম্বাবাই মাতার আর্শীবাদ নিই, কাগালের রামমন্দির দর্শন করে আবার যাতে মন্দির সংলগ্ন দরগায় মাথা ঠেকাই, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন শ্বশুরমশাই।'
আর ‘চক দে ইন্ডিয়া’ সিনেমায় সাগরিকা শাহরুখ খানের ‘ছাত্রী’ সাগরিকা বলেছিলেন, ‘আমাদের বাবা-মা কখনওই আমাদের একটি ধর্মের বৃত্তেই আটকে থাকতে শেখায়নি। সেই কারণেই আমরা (জাহির এবং সাগরিকা) পরস্পরের ধর্মকে সম্মান করি।’
সাগরিকার সঙ্গে কথা বলতেই ইতঃস্তত বোধ করতেন জাহির
যদিও সাগরিকার সঙ্গে কথা বলতে জাহির নাকি একটা সময় খুব ইতঃস্তত বোধ করতেন। সাগরিকা জানান, প্রথমে কথা বলতে ইতঃস্তত বোধ করতেন জাহির। শেষপর্যন্ত অঙ্গদের কারণে দু'জনের মধ্যে জাহির এবং সাগরিকার মধ্যে কথাবার্তা বৃদ্ধি পায়। শেষপর্যন্ত ২০১৬ সালে যুবরাজ সিংয়ের বিয়েতে জাহির এবং সাগরিকা নিজেদের প্রেমের কথা জনসমক্ষে আনেন। পরের বছরেই তাঁরা বিয়ে করেন।
আর সেই সম্পর্কের শুরুর সময়টা নিয়ে সম্প্রতি বলিউড বাবলের একটি সাক্ষাৎকারে সাগরিকা বলেন, ‘আমাদের দেখা হত। কিন্তু ও প্রথমে কথা বলত না। কারণ সকলে বলত যে তুমি জানো, ও কীরকম মেয়ে। আমি জানি না যে সেটার মাধ্যমে কী বোঝাতেন ওঁরা। হয়ত বোঝাতেন যে যদি সিরিয়াস হও, তবেই কথা বল। নাহলে কথা বলার কোনও মানে নেই।’