পঙ্গপাল হামলা নিয়ে বিতর্কিত টুইট,রোষের মুখে পড়ে টুইটার ও ইনস্টা অ্যাকাউন্ট ডিলিট করলেন জাইরা ওয়াসিম

পঙ্গপাল হামলাকে মানুষের কৃতকর্মের ফল হিসাবে ব্যাখা করেন জাইরা। এই সম্পর্কে কুরান শরিফের একটি ‘আয়ত’ উল্লেখ করেন প্রাক্তন অভিনেত্রী,এরপরেই নেটিজেনদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দেয় জাইরার বিরুদ্ধে।

জাইরা ওয়াসিম (ছবি-ইনস্টাগ্রাম) 

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছাড়লেও বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না প্রাক্তন অভিনেত্রী জাইরা ওয়াসিমের।সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ে এবার নিজের টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিলেন সিক্রেট সুপারস্টার অভিনেত্রী। বৃহস্পতিবার পঙ্গপাল হানা নিয়ে একটি টুইট করে বিতর্কে জড়ান জাইরা। এরপর সেই বিতর্কিত টুইটি ডিলিটও করে দেন তিনি। কিন্তু তাতেও ট্রোলিং থামেনি।

করোনাভাইরাস,আমফান,বন্যা-এতকিছু সমস্যার মাঝে ভারতে ফের নতুন সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে পঙ্গপাল হানা। সেই পঙ্গপাল হামলাকে মানুষের কৃতকর্মের ফল হিসাবে ব্যাখা করেন জাইরা। এই সম্পর্কে কুরান শরিফের একটি ‘আয়ত’ উল্লেখ করে জাইরা লেখেন মানুষের খারাপ কাজের জন্যই বন্যা,পঙ্গপাল হানা বা অন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেছে। সেই টুইটকে অনেকেই হিন্দু-বিরোধী টুইট ঘোষণা করে ট্রোল করেন জাইরাকে। এরপর তড়িঘড়ি সেই টুইট মুছে ফেলেন জাইরা, পরে নিজের টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করে দেন।

পঙ্গপালের হামলাকে সর্বশক্তিমানের দান বলে মান্যতা দেওয়ার এই চেষ্টাকে এক্কেবারেই ভালো চোখে দেখেনি নেটিজেনদের একাংশ। যদিও অনেকেই বলেছেন জাইরার টুইটে কোনও ভুল কথা লেখা ছিল না।'এই দুনিয়াতে যা কিছু ঘটে সেটা ভগবানের ইচ্ছানুসারেই ঘটে', প্রাক্তন অভিনেত্রীর সমর্থনে এমন কথাও লিখেছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা।

টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিলিট করলেন জাইরা ওয়াসিম 

প্রসঙ্গত বিপন্ন ধর্ম-বিশ্বাস, এই কারণ দেখিয়েই সকলকে চমকে দিয়ে মাত্র ১৮ বছর বয়সে অভিনয় থেকে অকালঅবসর নিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী জাইরা ওয়াসিম।২০১৯ সালের ৩০ জুন অভিনয় জীবনে ইতি টেনে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন অভিনেত্রী। তাঁর শেষ ছবি 'দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক' মুক্তির আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জাইরা। অভিনয় কেরিয়ারের ইতি টানার প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জাইরা লিখেছিলেন, 'আমি বুঝতে পেরেছি আমি বহু দিন ধরেই অন্য একজন হয়ে ওঠার চেষ্টা করে চলাচ্ছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছি, যদিও আমি এখানে সুন্দর ভাবে ফিট হতে পারব কিন্তু আমি এটার জন্য নয়। এখানে আমাকে অনেক ভালবাসা, সমর্থন, প্রশংসা পেয়েছি, কিন্তু এই ফিল্ড আর যেটা করেছে তা হল আমাকে ধীরে ধীরে অবমাননার দিকে ঠেলে দিয়েছে, ক্রমশ অসচেতন ভাবে আমি আমার ইমান (বিশ্বাস)-এর থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। কারণ আমি এমন একটা পরিবেশে কাজ করতাম যা ক্রমাগত আমার ইমানের মাঝে এসে দাঁড়াত, ধর্মের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বিপন্ন হয়ে পড়েছিল'।