করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে শুক্রবারই বাড়ি ফিরেছেন প্রযোজক করিম মোরানি। চেন্নাই এক্সপ্রেস প্রযোজকের পর পর দুটি করোনার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর শুক্রবার রাতে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রযোজক। গত ৫ এপ্রিল প্রথমে করোনা আক্রান্ত হয় করিম মোরানির ছোটমেয়ে শাজা, এবং তারপর বড়মেয়ে,অভিনেত্রী জোয়া মোরানির দেহেও Covid-19-এর উপস্থিতি ধরা পড়ে। ঘটনার দুদিন পর করিম মোরানি করোনা আক্রান্ত হন। সুস্থ হয়ে দুই মেয়ে আগেই বাড়ি ফিরেছে, এবার ঘরে ফিরলেন প্রযোজক করিম মোরানি। স্বভাবতই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন তাঁর দুই কন্যা-শাজা ও জোয়া।
শনিবার ইনস্টাগ্রামে বাবাকে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট করলেন অভিনেত্রী জোয়া মোরানি। বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে পুরোনো একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'এবং আমার বাবা গতকাল রাতে বাড়ি ফিরে এসেছেন।চিকিত্সা পর্ব মিটেছে, আমাদের গোটা বাড়ি এখন কোভিড-নেগেটিভ..! সবাই এখন বাড়িতে, সুস্থ এবং সবার মন ভালো রয়েছে!!!... ঘূর্ণিঝড়ের মতো অভিজ্ঞতা কিন্তু খুশি আমরা সেই ঝড় শেষে সঠিক দিকে দাঁড়িয়ে থাকতে পেরেছি। লক্ষন(করোনা) সবার আলাদা আলাদা ছিল,তাই কোনও উপদেশ দেওয়ার থেকে বলব চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। আমার বাবার কোন লক্ষন ধরা পড়েনি (৯ দিন হাসপাতালে), বোনের মাথা যন্ত্রণা ও জ্বর (৬ দিন হাসপাতালে), আমার জ্বর, গা-হাতে যন্ত্রনা,কাশি, বুকে অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট এবং মাথাযন্ত্রনা (৭ দিন হাসপাতালে)। এগুলো প্রত্যেকটাই হালকা ছিল এবং সেগুলো সহনীয়। এক কথায় বলতে গেলে-একটা ফ্লু এবং অদ্ভূত এক অনুভূতি। চিকিত্সক এবং সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা সাহসী এবং পজিটিভ ছিল, তাঁরা খুব সাহায্য করেছেন এবং সেবা করেছেন'।
প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন জোয়া। তাঁদের জন্যই নতুন জীবন পেয়েছে গোটা পরিবার,জানালেন অভিনেত্রী। তিনি আরও লেখেন, 'বিএমসি এবং মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর প্রতিটা পদক্ষেপ সঠিক নিয়েছে। আমাদের চিকিত্সার খোঁজখবর নেওয়া থেকে, আমাদের বিল্ডিং এবং রাস্তাঘাট-গোচা চত্বর স্যানিটাইজ করা-সমস্তটা। বিল্ডিংয়ের অনান্য বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাঁরা সবকিছু করেছে। তাঁরা প্রত্যকে ১৪ দিন আইসোলেশনে থেকেছে, স্বাস্থ্যকর খাবার, ভিটামিন এবং বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তাঁদেরকে। আমাদের সরকার যেভাবে এই মহামারীর মোকাবিলা করছে সত্যিই প্রশংসানীয়।ধন্যবাদ নানাবতী হাসপাতাল আমার বাবা ও বোনের খেয়াল রাখবার জন্য, তাঁদের সুস্থ করে তোলবার জন্য। ধন্যবাদ কোকিলাবেন হাসপাতাল! চিরকৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে! সকলকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের শুভেচ্ছা এবং প্রার্থনার জন্য। মহামারীকে হারাতে পরে সত্যি খুশি। এই মহামারীর সঙ্গে গোটা বিশ্ব লড়াই করছে। এই বিশ্বের প্রতিটা মানুষ যাঁরা করোনায় আক্রান্ত তাঁদের সঙ্গে আমাদের প্রার্থনা জড়িয়ে রয়েছে'।