অভিনেতা জারিন খান সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রোকলি ব্যবহার করে নকল ফ্রেকলস তৈরির প্রবণতার প্রতি সরব হয়েছেন তিনি।
একটি সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিনেত্রী জারিন খান একটি রিল শেয়ার করেছেন, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের দেখা গিয়েছে ব্রোকলি ব্যবহার করে মুখের উপর নকল ফ্রেকলস তৈরি করতে। অভিনেতা বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ফ্রেকলসের বিরুদ্ধে নই...আমি শুধু এই অর্থহীন প্রবণতার বিরুদ্ধে’। অভিনেত্রী চিরকাল তাঁর স্পষ্টভাষী স্বভাবের জন্য পরিচিত। এই রিলসেও তার অন্যথা হয়নি।
আরও পড়ুন: (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি থেকে যুবরাজ সিং: ক্যানসারকে তুড়ি মেরে সুস্থ জীবনযাপন করছেন যাঁরা)
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় ৩৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেন, ‘কিছু অদ্ভুত প্রবণতা রয়েছে যা এখন এসেছে। আমি জানি না মানুষ কি করছে! এটা আমার বোধগম্যের বাইরে। আমি এই প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি যেখানে লোকেরা নকল ফ্রেকলস লাগাতে চেষ্টা করছেন। এটা জঘন্য। তুমি ওটা কেন করবে? আমি এর পিছনে কী কারণ বুঝতে পারছি না।’
নিজের শৈশবকালে ফ্রেকলসের সঙ্গে সংগ্রাম এবং অবাস্তব সৌন্দর্যের মান মেনে চলার জন্য সামাজিক চাপের দিকটি তুলে ধরেন এবং এবিষয়ে ব্যক্তিগত মতামত পোষণ করেন।
‘আমি ফ্রেকলসের বিরুদ্ধে নই। আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন আমার মুখে খুব ফ্রেকলস থাকতো, আর আমি মুখ থেকে মুছে ফেলতে পারতাম না। শৈশবে বেশি কথা বলার সুযোগ ছিলো না, তাই আমার বাবা-মায়ের মনে হতো মেয়ের মুখে দাগ হওয়া উচিত নয়। ওরা বলতেন, 'ওহ তো মেয়ে, ওর মুখে দাগ না থাকাই ভালো'। এটা খুবই কষ্টকর। আপনি জানেন তাঁরা ফ্রেকল কী তা বুঝতো না? ভাবতো কী না কী হয়েছে আমার মুখে! শেষে আমার মা আমাকে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান, এগুলো দূর করার জন্য।’
আরও পড়ুন: (কল্কি দেখে বিস্মিত রজনীকান্ত, বললেন ‘পার্ট-২ এর অপেক্ষায় আছি’)
জারিন খানকে শেষবার হাম ভি আকেলে তুম ভি আকেলে ছবিতে ২০২১ সালে দেখা গিয়েছিল। তিনি প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে গুরুত্ব দেওয়ার উপর জোড় দিয়েছেন প্রতিনিয়ত। যাঁরা শৈশবকালে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন, তাঁদের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখেন তাই সত্যি মনে করেন। যদি আপনার স্বাভাবিকভাবেই ফ্রেকলস থাকে তবে এটা সুন্দর, কিন্তু এমন রিল বানিয়ে এটা নিয়ে মজা করা বন্ধ করুন। অনেক মানুষের এই জিনিসগুলির কারণে শৈশবকালীন ভীতি রয়েছে’।
বর্তমান সমাজে সোশ্যাল মিডিয়ার দিক তুলে ধরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেউই নিজের স্বাভাবিক ফ্রেকলস থাকলে সেটা দেখিয়ে রিল বানাচ্ছেন না। সবকিছুরই ভালো-মন্দ আছে। সোশ্যাল মিডিয়া একটা খুব ভালো মাধ্যম সমাজকে ভালো দিকে প্রভাবিত করার জন্য। কিন্তু আমি খুব লোককেই সেটা করতে দেখি’।