‘ম্যায় হুঁ না’ সিনেমায় শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন জায়েদ খান। পরবর্তী সময়ে হাতেগোনা কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এখন সিনেমা জগত থেকে দূরে স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে ভালোই আছেন অভিনেতা। তবে অভিনেতার জীবনে একটা সময় এসেছিল সংকটের কালো ছায়া, যা সম্প্রতি তিনি শেয়ার করেন সহ অভিনেত্রী অমৃতা রাওয়ের সঙ্গে।
অমৃতার সঙ্গে কথোপকথনে চলাকালীন অভিনেতা জানান, যখন তাঁরা লন্ডনে থাকতেন তখন জিদানের বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। সেই সময় হঠাৎ একদিন জিদানের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। জায়েদ এবং তাঁর স্ত্রী মালাইকা সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
(আরও পড়ুন: পৈতৃক ভিটের মতোই শ্যাওলা ধরা সম্পর্কের গল্প শোনাবে মানসীর '৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন', অভিনয়ে অপরাজিতা-খরাজরা)
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নার্স জানান, জিদানের অবস্থা ভীষণ গুরুতর। হাসপাতালে তরফ থেকে অবিলম্বে চারজন ডাক্তারকে আনা হয় এবং জরুরী অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের তরফ থেকে জানানো হয়,স্টেরয়েড দেওয়ার পর যদি শ্বাসকষ্ট না কমে তাহলে অবশ্যই অপারেশন করতে হবে।
জায়েদ জানান, স্টেরয়েড দিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে দেওয়ার পর ছেলে সুস্থ হয়ে যায় তাই অপারেশন করার কোনও প্রয়োজন হয় না। তবে চিকিৎসকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এই শ্বাসকষ্ট সারাজীবন থেকে যাবে, পুরোপুরি সুস্থ নাও হতে পারে জিদান।
(আরও পড়ুন: ৩০-এ শুরু দ্বিতীয় ইনিংস, নতুন বছরে বিয়ে,প্রেমিকের হাত ধরে জন্মদিনে কোথায় মধুমিতা?)
জিদানকে সুস্থ করার জন্য হাই জাম্পের মতো একাধিক শারীরিক ক্রিয়া-কলাপে ভর্তি করিয়ে দেন জায়েদ। ধীরে ধীরে ছেলে সুস্থ হয়ে ওঠে এবং এখন কোনও শ্বাসকষ্ট ছাড়াই জিদান পুরোপুরি সুস্থ। যদিও ৫ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বারংবার হাসপাতালে যেতে হয়েছিল জিদানকে শ্বাসকষ্টের জন্য।
সন্তানকে নিয়ে টানাপোড়েনের সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘সেই সময় মানসিকভাবে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। বারবার ঈশ্বরের কাছে বলতাম, কেন ছেলেকে কষ্ট দিচ্ছ। ওর বদলে আমাকে নিয়ে যাও।’
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে মালাইকাকে বিয়ে করেন জায়েদ। ২০০৮ সালে জিদান এবং ২০১১ সালে দ্বিতীয় ছেলে আরিজের জন্ম হয়।