২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ম্যায় হুঁ না’ সিনেমার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। এই সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় শাহরুখ খান এবং সুস্মিতা সেন অভিনয় করলেও পার্শ্ব চরিত্রে জায়েদ খান এবং অমৃতা রাওয়ের অভিনয়ও প্রশংসার যোগ্য ছিল। খলনায়কের চরিত্রে সুনীল শেট্টিও ছিলেন অসাধারণ।
‘ম্যায় হুঁ না’ সিনেমার পরিচালক ফারাহ খান এই সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কাউকে খুঁজছিলেন। ঠিক সেই সময় সঞ্জয় খানের ছেলে তথা ফারদিন খানের ভাই জায়েদ আব্বাস খান দেখা করেন ফারাহ খানের সঙ্গে। জায়েদকে দেখেই পরিচালকের পছন্দ হয়ে যায়। বাকিটা ইতিহাস।
‘ম্যায় হুঁ না’-এর ২০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আজও এই সিনেমাটি সকলের মনের ভীষণ কাছের। সম্প্রতি RiteBite Maz Protein TV -এর একটি পর্বে রোহিত রায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন জায়েদ খান। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে একটি মজার ঘটনা শেয়ার করেন জায়েদ।
(আরও পড়ুন: শুধু সলমন-রশ্মিকাই নন, 'সিকান্দার'-এ থাকছেন কাজলও! শুরু করলেন শ্যুটিং)
রোহিতের সঙ্গে আলাপচারিতা করার সময় জায়েদ বলেন, ‘শাহরুখ একজন দুর্দান্ত অভিনেতা। তিনি কখনও বুঝতে দেন না তিনি কত বড় মাপের অভিনেতা। সহকর্মীদের কাছ থেকে কী করে সেরা অভিনয় বের করে আনতে হয়, তা তিনি খুব ভালো করেই জানেন। এক কথায় শাহরুখ একজন নিপাট ভদ্রলোক।’
জায়েদ আরও বলেন, ‘শাহরুখ আমাকে নিয়ে প্রত্যেকদিন রিহার্সাল করতেন। প্রত্যেকটি লাইন কীভাবে মনে রাখতে হয় আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন শাহরুখ। তিনি শিখিয়েছিলেন, অভিনয় প্রতিযোগিতা নয় বরং প্রস্তুতি। সেটে ঢোকার আগে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় তা তিনি শিখিয়ে দিয়েছিলেন। এইভাবে ধীরে ধীরে আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় এবং শুটিং ফ্লোরে আর কোনও অসুবিধা হয়নি আমার।’
(আরও পড়ুন: ফ্যানদের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এই তারকারা, কোনও রকমে সামলেছিলেন নিজেদের)
শাহরুখের সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে জায়েদ বলেন, ‘শাহরুখ ভীষণভাবে ভিডিয়ো গেমে আসক্ত। সারাদিন ভিডিয়ো গেম খেলার পরেও ক্লান্ত বোধ করেন না শাহরুখ। তবে আমার সঙ্গে ‘ফিফা ২০০০’ খেলতে গিয়ে যখন মাঝে মাঝে শাহরুখ হেরে যেতেন, তখন ভীষণ রেগে যেতেন। প্যাক আপ হওয়ার পরেও বাড়ি যেতে দিতেন না আমাকে। যতক্ষণ না উনি জিততেন ততক্ষণ আমার সঙ্গে খেলে যেতেন।’