জল্পনাই সঠিক হল! বেশ কয়েকটি এপিসোড ধরেই রুনার পারফরম্য়ান্স নিয়ে কাটাছোঁড়া একটু বেশি হচ্ছিল জি বাংলা সারেগামাপা-র মঞ্চে। ফেস-অফ চ্যালেঞ্জে সবার চেয়ে কম নম্বর পেয়ে অবশেষে এই মঞ্চকে বিদায় জানালো বাঘাযতীন-এর মেয়ে রুনা হুসেন। জোজো-জাভেদের টিমের রুনার শনিবারের পারফরম্যান্সে এক্কেবারেই সন্তুষ্ট ছিলেন না বিচারকরা। আরও পড়ুন-মালতির ছোট্ট হাতে এত্ত বড় নখ! বিয়ের ৬ বছর পূর্তি, কী করলেন নিক-প্রিয়াঙ্কা?
সময় যত গড়াচ্ছে ততই কঠিন হচ্ছে সারেগামাপা-র মোকাবিলা। এই বছর লড়াই শুধু প্রতিযোগিদের মধ্যে নয়, লড়াই জমে উঠেছে বিচারকদের মধ্যেও। কার টিমের প্রতিযোগির মাথায় উঠবে সেরার মুকুট সেইদিকেও নজর সকলের। তার মাঝেই জোজো-জাভেদের টিমের শক্তি কমল।
‘ম্যানিপুলেশন দিয়ে আর যাই হোক শিল্প হবে না’, রুনাকে সচেতন করে কিছুদিন আগেই বলেছিলেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। সপ্তাহখানেক আগেও ‘কবি গান’ নিয়ে ইন্দ্রদীপের প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি রুনা। আর শনিবারের এপিসোডে ফের খামতি রয়ে গেল রুনার পারফরম্যান্সে।
ফেস-অফ চ্যালেঞ্জের শেষলগ্নে শান্তনু-অন্তরার টিমের সাঁই শাস্ত্রীর মুখোমুখি হয়েছিল রুনা। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ‘মায়াবতী মেঘে এল তন্দ্রা’ গেয়ে এদিন পিছিয়ে পড়েন রুনা। ওদিকে পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার আগেই গোল্ডেন গিটার জিতে নেন সাঁই। রুনার গান শেষে কৌশিকি বলেন, ‘তুমি গানটার মধ্যে ছিলে না। ছিলে না বলে এটা একটু হয়েছে, ওটা একটু হয়েছে। ব্যাপারটা হল গানটা কাজের মতো গেয়ে দেওয়া হয়েছে। গানটা করা একটা জিনিস, একটা গানটা হওয়া আরেকটা। আজ তুমি গানটা করছিলে….’।
সিনিয়র কৌশিকির সুরে সুরে মিলিয়ে ইমন বলেন, ‘রুনা, ভিতরটা চঞ্চল হয়ে আছে, সেটা থামা। সেটাকে ঠিক করতে হবে।’ জাভেদের টিমেরই মেয়ে রুনা। কিন্তু তিনিও চুপ থাকলেন না এদিন। গায়ক স্পষ্ট বলেন, ‘কখনও আমরা প্রশংসা শুনতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং আমারা লক্ষ্যভ্রষ্ট হই। সকলে বলে তোমার কন্ঠস্বর খুব সুন্দর, কিন্তু সেটা ভুলে আমার কাছে কী নেই সেটর উপর কাজ করা। এরপর যদি সুযোগ পাই তোমার গান শোনার, তাহলে আমি চাইব সেই পুরোনো রুনার গান শুনতে’।
আরও পড়ুন-‘ম্যানিপুলেশন দিয়ে শিল্প হবে না…’, রুনার গানে খুশি নন ইন্দ্রদীপ-ইমনরা, কী ঘটেছে?
রাঘব-ইমন এবং ইন্দ্রদীপ-কৌশিকী জুটি এদিন যথাক্রমে ৮ নম্বর করে স্কোর দেয়। ফলে ১৬-তেই আটকে পড়েন রুনা। ডেঞ্জার জোনে থাকা সুস্মিতা পেয়েছিল ১৭! তাই দিনের শেষে সেফ-জোনে চলে যায় সুস্মিতাও। এবং এদিন এলিমিনেশনের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন বিচারকরা। মন খারাপ নিয়েই সারেগামাপার মঞ্চকে বিদায় জানালেন রুনা। হাসিমুখেই এই ধাক্কা সামলান রুনা। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘প্রত্যেক বিচারক আমাকে অনেক চান্স দিয়েছেন। আমি আগেও খারাপ পারফরম্যান্স করে টিকে থেকেছি আপনাদের জন্য… অনেক ধন্যবাদ’।