এর আগেই আমরা আপনাদের খবর দিয়েছিলাম, বাংলা মিডিয়ামের পর ছোট পর্দায় ফিরছেন নীল ভট্টাচার্য। আর বিপরীতে দেখা যাবে গুড্ডি নায়িকা শ্যামৌপ্তি মুদলিকে। ধারাবাহিকের নাম হতে চলেছে অমর সঙ্গী। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আইকনিক সিনেমার টাইটেল ট্র্যাক দিয়েই সামনে এল ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো।
দেখা যাচ্ছে লাল রঙের একটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে নামছেন নীল (রাজ)। এরপর গাড়ি থেকে নিজে নেমে খুলে দিচ্ছেন শ্যামৌপ্তি (শ্রী)-র দিকের দরজা। এরপর হঠাৎই বৃষ্টি। দু হাত ছড়িয়ে তা উপভোগ করতে থাকে শ্রী। তবে গল্পের নায়কের মাথায় তখন ছাতা। সেদিকে দেখেই অভিযোগের সুরে শ্রী বলে ওঠে, ‘তোমার বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে না?’ এরপর ছুটে গিয়ে রাজের হাতের থেকে ছাতা ফেলে দেয়। দুজনে একসঙ্গে ভিজতে থাকে বৃষ্টিতে।
এরপরই অবশ্য আসল বিষয়টা আসে সামনে। লাল চকচকে গাড়ি, স্যুট-ব্যুটে থাকা রাজের বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। বাড়ির ছাদ থেকে জল পড়ে। প্রেমিকা পটাতে যে দামি জামা ও গাড়ি ব্যবহার করেছে সে, সবটাই ভাড়ার।
দেখা যায় দুজন লোক আসে রাজের বাড়িতে। চিৎকার করে বলে, ‘রাজ। আয় বাইরে বেরিয়ে আয়। এভাবে ভাড়ার গাড়ি আর ভাড়ার জামাকাপড় পরে কদ্দিন চলবে?’ তারপর রাজকে সামনে পেয়ে ফের বলে, ‘গার্লফ্রেন্ড জানে ভাড়ার বাড়ির ছাদ থেকে জল পড়ে?’
এতে অবস্য রাজের জবাব, ‘একদিন এর থেকেও বড় গাড়ি হবে আমার বস, মিলিয়ে নিও।’
এরপর দেখা যায় রাজের দিকে এগিয়ে আসছে তার বোন। যার প্রশ্ন, ‘হ্যাঁ রে বড়দা, হবু বউদি সবটা জানতে পেরে গেলে তোকে আর ভালোবাসবে তো?’ তাতে রাজ জবাব দেয়, ‘আমি শ্রীকে এতটাই ভালোবাসব যে, ও আমাকে ভুল বুঝবেই না’।
কিন্তু আদৌ তেমনটা হবে কি? শেষে দেখা যায়, শ্রী হঠাৎই হাজির রাজের সেই ভাঙা বাড়িতে। এক চোখ জল নিয়ে ভালোবাসার মানুষটার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে, ‘রাজ ভালোই যদি বাসলে, তাহলে মিথ্যের আশ্রয় নিলে কেন?’
এখনও অবধি সম্প্রচারের সময় বা তারিখ কিছুই সামনে আনা হয়নি। আপাতত রাত ১০টার স্লট ফাঁকা রয়েছে জি বাংলার। যার কারণে মিঠিঝোরা ও মালা বদল। তবে রাত ১০টায় নীল ও শ্যামৌপ্তির ধারাবাহিক আনা হবে, নাকি কোনও মেগার স্লট বদলে সেটিকে রাত ১০টায় আনার সিদ্ধান্ত নেবে জি বাংলা, এখন সেটাই দেখার। খুব সম্ভবত প্রাইম টাইমই পাবে নীল-শ্যামৌপ্তি থুরি রাজ আর শ্রী। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এনআইডিয়াজ ক্রিয়েশন রয়েছে এই সিরিয়ালের প্রযোজনায়। হতে চলেছে এটি একটি নিখাত প্রেমের গল্প। যা প্রোমো থেকেই স্পষ্ট।