এখনও দুর্গাপুজোর আমেজ ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’তে। তবে, ধারাবাহিকের বিজয়া এপিসোড নিয়ে আপত্তি তুলল দর্শকদের একটা অংশ। আপাতত উর্মি আর সাত্যকির প্রেম তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন সকলে। কিন্তু এবার দর্শকরা মনে করছেন নির্মাতারা বড়ই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন।
বিজয়ায় ঠাকুর বরণ সেরে গোটা পরিবারকে প্রণাম করে উর্মি। তারপরই খেয়াল পরে বাদ রয়ে গিয়েছে ছোট ঠাম্মি আর ছোট দাদু। আর দাদু-ঠাম্মির ঘরে এসে দেখে মাথায় ঘোমটা দিয়ে ঠাম্মি প্রণাম করল দাদুকে। এমনকী, শাঁখা-সিঁদুর পরে যাতে শেষ দিন অবধি কাটাতে পারে সেই আশীর্বাদও চায়। তারপরই নিজের ঘরে গিয়ে ‘টুবাইদা’কে প্রণাম করে ঠাম্মির মতো মাথায় ঘোমটা দিয়ে। টুবাইদার হাত থেকে সিঁদুরও পরে!
উর্মি-সাত্যিকির ভক্তরা যেমন এই ভালোবাসা মাখা দৃশ্যের প্রশংসা করেছেন, তেমনই কিছু দর্শক মনে করছেন আজকের দিনে দাঁড়িয়েও এই ধরণের প্রথা অবাঞ্ছনীয়। যেখানে স্বামীকে প্রণাম করবে স্ত্রী। আজ যেখানে মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, সেখানে এই ধরণের দৃশ্য আরও পিছনে টেনে ধরে মেয়েদের। যদিও কারও কারও মত প্রথা বা প্রাচীন রীতিনীতি কখনও পুরনো হয় না। বরং, যেটা বরাবর হয়ে আসছে সেটা হয়ে যাওয়াই ঠিক!
আর এসব নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। তবে, এসবের মাঝে ধারাবাহিকের টিআরপি যে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। কিছুদিন আগেই ১০০ এপিসোড পার করেছে এই ধারাবাহিক। পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার-সহ ছবির গোটা টিম তা উদযাপন করেছে শহরেরই এক রেস্তোরাঁয়।
প্রতি বৃহস্পতিবার TRP-র রেজাল্টেও ভালো পারফর্ম করছে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’। উর্মির চরিত্রে অভিনয় করছেন অন্বেষা হাজরা আর সাত্যিকির চরিত্রে ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়।
আচ্ছা, স্বামীকে স্ত্রীর প্রণাম করা কি যুক্তিসঙ্গত? আপনাদের কী মত?