দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই বলিউডে রীতিমতো রাজ করেছিলেন জিনাত আমান। প্রবীণ এই অভিনেত্রী কাজ করেছেন একাধিক তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সঙ্গে। বর্তমানে কয়েকটি পোষ্য নিয়ে একাই থাকেন তিনি বাড়িতে। আর এই একা থাকাই কাল হল অভিনেত্রীর। গত সোমবার রাতে রীতিমতো একটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হতে হলে তাঁকে।
সোমবার একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জিনাত জানান, কীভাবে একটি ছোট্ট প্রেসারের ওষুধ খেতে গিয়ে রীতিমতো প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়েছিল তাঁর। জিনাত লেখেন, গতরাতে আমার সঙ্গে যা হয়েছিল তা আপনাদের সকলের সঙ্গে শেয়ার করার অনুমতি দিন দয়া করে। সোমবার রাতে আন্ধেরি স্টুডিওয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি প্রজেক্ট-এর কাজ শেষ হয়েছিল। আমি ভীষণ উচ্ছ্বসিত হয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।
আরও পড়ুন: ‘যমজ বোন লাগছে…’, কাজলের পাশে মেয়ে নিসা, কত বছর বয়সে প্রথমবার মা হন অজয় ঘরণী?
অভিনেত্রী লেখেন, বাড়ি ফিরে তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যাওয়ার প্ল্যান ছিল আমার। দীর্ঘদিনের ক্লান্তি থাকার কারণে শরীরে হয়ে উঠেছিল অবসন্ন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে আমার শেষ কাজ ছিল ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খাওয়া। প্রতিদিনের মতো ওষুধ এবং জল নিয়ে মুখে দিতেই হঠাৎ করে ওষুধ গলায় আটকে যায়।
গলায় ওষুধ আটকে যাওয়ায় আমার রীতিমতো দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। ওষুধ যাতে গলা দিয়ে নেমে যায় তার জন্য আমি বারবার জল খেতে থাকি। গোটা গ্লাসের জল খেয়ে ফেলার পরেও ওষুধ গলায় আটকে থাকে। আমার হঠাৎ করেই মনে হয় বাড়িতে কুকুর আর পাঁচটি বিড়াল ছাড়া আর কেউ নেই। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তখন আমার মনে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়।
ডাক্তারের নাম্বারে ফোন করায় দেখলাম তিনি ব্যস্ত। অস্বস্তি বাড়তে থাকে শরীরে। তড়িঘড়ি ফোন করি জাহানকে। জাহান এসে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ায় তিনি বলেন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে। ওষুধ নিজেই গলে গিয়ে গলা থেকে নেমে যাবে। এরপর বেশ কয়েক ঘন্টা আমি শুধু গরম জল পান করেছি। অবশেষে ওষুধ নেমে যায় গলা থেকে।
আরও পড়ুন: চোখে জল, মুখে হাসি! মা-বাবাকে ছেড়ে, রুবেলের বাড়িতে শ্বেতা, ভাইরাল বিদাইয়ের ছবি
আরও পড়ুন: ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছর পার, তাও কোন ভয় তাড়া করে বেড়ায় মাধবনকে?
ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, গত রাতের ঘটনায় আমার একটা কথাই মনে হল, কিছু কিছু সময় ধৈর্য রাখা ভীষণ দরকার। সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। এখন আমি একদম সুস্থ আছি। তবে গতরাতের কথা কোনওদিন ভুলব না।