সত্তরে দশকে বলিউডে রাজত্ব করেছেন অভিনেত্রী জিনাত আমন। তাঁর রূপের জাদুতে মুগ্ধ আসমুদ্র হিমাচল। বলিউডে শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেননি তিনি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে মিস এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনালের তাজ উঠেছিল জিনাতের মাথায়।
প্রথম ভারতীয় হিসেবে জিনাতই ছিলেন যিনি মিস এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনালের জয়ী ছিলেন। এরপর ১৯৭৩ সালে মডেল তারা ফরসেকা এই খেতাব জয় করেন। পরে ২০০০ সালে অভিনেত্রী দিয়া মির্জায় মাথায় উঠেছে এই মুকুট।
জিনাত ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন। 'প্রথম রাজকুমারী' উপাধি দেওয়া হয়ছিল তাঁকে। ফিলিপাইনে মিস এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগীতায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের জোরদার টক্কর দেন জিনাত। শেষ পর্যন্ত এই তাজ মাথায় নিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন। হলুদ রঙের সাঁতারের পোশাকে লাস্যময়ী অবতারে অভিনেত্রী। তাঁর মাথায় মুকুট, লাল কেপ পরা এবং কপালে ছোট্ট একটি টিপ পরেছেন।
আরও পড়ুন: সমাজের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন, ৪৭-এও এককাঠি উপরে সুস্মিতা ম্যাজিক
দেখুন জিনাত আমনের মিস এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল খেতাব জয়ের মুহূর্ত-
২০২১ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় জয়ী হারনাজ সান্ধু। তাঁর এই জয়ের পরই গত বছর এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রতিযোগিতার দিনগুলি স্মরণ করে জিনাত বলেছিলেন, ‘১৯৭০ সালে শুধু মিস ইন্ডিয়া এবং মিস এশিয়া প্যাসিফিক হইনি, সেই বছর মিস ফটোজেনিকও হয়েছিলাম। আমার মনে আছে আমার নিজের মেকআপ এবং চুল, এবং পোশাক বাছাইয়ে সময়টা। এখনকার মতো তখন এতটা সহযোগীতার ব্যবস্থা ছিল না। আমাদের শুধু এক পা এগিয়ে নিজেদের সেরাটা উজাড় করতে হত। এখন তো মেয়েদের সঙ্গে কাজ করার জন্য একটা দুর্দান্ত টিম রয়েছে।’
একাধিক খেতাব জয়ের পর বলিউড থেকে একগুচ্ছ সিনেমার অফার এসেছিল জিনাতের হাতে। দেব আনন্দের বিপরীতে বলিউড ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। ছবির নাম ‘দ্য ইভিল উইদ-ইন’। পরিচালনা করেছিলেন ল্যাম্বার্তো ভি. অ্যাভেলানা।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জিনাতের ছোট যোগ ছিল। তিনি ছিলেন আমানুল্লাহ খানের মেয়ে, যাঁর ছদ্মনাম 'আমন', তিনি মুঘল-ই-আজম ছবির অন্যতম চিত্রনাট্যকার ছিলেন।