গত মাসে আচমকা জুবিন গর্গের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা সঙ্গীত জগত। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
জুবিনের মৃত্যুর পর গোটা আসাম প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পীর শেষ যাত্রায় যোগদান করেছিল, যার ফলে গায়কের নাম লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পায়। যদিও এই মুহূর্তে জুবিনের মৃত্যুর তদন্ত চলছে। উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: দেবলীনার বাড়িতে হয় থিমের লক্ষ্মীপুজো, কীভাবে হয় শুরু? এবারের থিম কী?
আরও পড়ুন: 'আগে বুঝিনি...', ছেলে বিদেশ যেতেই বাবার কোন কষ্ট উপলব্ধি করলেন চঞ্চল?
এর মধ্যেই এমন একটি খবর শুনতে পাওয়া গেল, যা বিষাদের মধ্যেও মন ভালো করে দেয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এবার পাকিস্তানের মাটিতে জুবিন গর্গ পেলেন শ্রদ্ধাঞ্জলি। শিল্প যে সমস্ত বাধা নিষেধ দূর করে দিতে পারে, তার আরও একটি প্রমাণ পাওয়া গেল এই ঘটনার পরে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিয়ো।
পাকিস্তানের রক ব্যান্ড খুদগর্জ করাচিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় জুবিনকে। প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পীর বিখ্যাত গান ইয়া আলি গানের মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করা হয়। তবে শুধু ব্যান্ডের সদস্যরা নন, সেখানে উপস্থিত সকলে গান গেয়ে জুবিনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
এই রক ব্যান্ডের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ভিডিয়ো শেয়ার করে তাঁরা লেখেন, ‘সুদূর করাচি থেকে অনেক ভালোবাসা প্রিয় জুবিন গর্গ। আপনি সারা জীবন আমাদের প্লে লিস্টের সবার ওপরে থেকে যাবেন। আমাদের এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, জন্মসূত্রে অসমের মানুষ হলেও গোটা দেশের তথা বিদেশের মানুষের কাছে ভীষণ পরিচিত জুবিন। ১৯৯২ সালে প্রথম পেশাগতভাবে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। হিন্দি চলচ্চিত্র ছাড়াও বাংলা চলচ্চিত্রে গান গেয়ে বিখ্যাত হয়েছেন তিনি। অসমিয়া ছবিতে অভিনয়ও করতে দেখা গিয়েছিল এই গায়ককে।
আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের পরেও সিঁথি ভর্তি সিঁদুর কেন? কটাক্ষের জবাবে কী বললেন পৃথা?
আরও পড়ুন: বাড়ির পুজোয় নিজের হাতেই লক্ষ্মী সাজান অপরাজিতা, কীভাবে শুরু হয়েছিল এই রীতি?
তবে ‘গ্যাংস্টার’ ছবিতে ‘ইয়া আলি’ গানটি গেয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন গায়ক। সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘পিয়া রে’, ‘মন মানে না’ সহ বহু জনপ্রিয় গান গেয়েছেন তিনি। জুবিনের এই মৃত্যু সঙ্গীত জগতের একটি অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে রইল।