আপনি অর্ডার করলেন আর ১০ মিনিটে এসে হাজির।এমন সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করছে জেপটো।( Zepto) । জেপটো ক্যাফে ক্যাফে নামে একটি অ্য়াপ আনছে জেপ্টো।সেখানে অর্ডার করার ১০ মিনিটের মধ্যে দোরগোড়ায় চলে যাবে আপনার প্রিয় খাবার।চা, সিঙ্গারা কিংবা পিজ্জা যাই হোক না কেন মিলবে এই অ্যাপের মাধ্যমেই।
১০ মিনিটে ডেলিভারি। দাতুম ইনটেলিজেন্সের উপদেষ্টা সতীশ মীনা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন ফুড ডেলিভারির মার্কেটে প্রতিযোগিতা ক্রমশ বাড়ছে। তবে জেপটো ক্যাফের জন্য যে টাকা খরচ হবে সেটা আসলে যেতে পারে জোমাটো ও সুইগির ক্রেতাদের কাছ থেকে। জেপটো আপাতত জোমাটোর ব্লিঙ্কিট ও সুইগির ইনস্টামার্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামছে ।
কীভাবে কাজ করবে এই জেপটো cafe অ্যাপ?
এটা ঠিক জোমাটো বা সুইগির মডেলে নয়। রেডি টু ফুড আইটেমগুলি স্থানীয় ভেন্ডরদের থেকে নেবে। একটা কিচেন নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে। তার মাধ্যমে খাবার রান্না করা ও তার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে নির্দিষ্ট কয়েকটি খাবার তারা পরিবেশন করতে পারছে। আগামী দিনে এই তালিকায় আরও নানা ধরনের খাবার যুক্ত হবে।
কোম্পানির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মেনুতে যা রয়েছে তা রান্না করতে দু মিনিটের কম সময় লাগবে।
এদিকে সুইগি ১০ মিনিটে খাবার ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছে। জোমাটো ১৫ মিনিটে হোমমেড খাবার ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছে। তবে মনে করা হচ্ছে তারাও এই ১০ মিনিটের সিস্টেমে আসবে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, একবারে জেপটো ক্যাফে অ্যাপ জনপ্রিয় হলে তখন রেস্তরাঁগুলি এতে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
জেপটো ক্যাফে আপাতত দেশের ৬টি শহরে রয়েছে। তবে এরপর তারা যে সমস্ত জায়গায় জেপটো আছে সেখানেই এই নয়া সিস্টেম চালু করার চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালে মুম্বইয়ে Zepto-র পথ চলা শুরু। আদিত পালিচা এবং কৈবল্য বোহরা- দুই বন্ধু মিলে এই ব্যবসা শুরু করেন। লকডাউনের সময় মুদিখানার দোকান বন্ধ ছিল। সেই ফাঁকটা পূরণ করার ভাবনা। সেই থেকেই জেপ্টোর গোড়াপত্তন। স্ট্যানফোর্ডের কৃতী পড়ুয়া ছিলেন দু'জনেই। কিন্তু ব্যবসা করার অদম্য ইচ্ছা থেকে মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দেন। প্রথমে অবশ্যই জেপ্টোর নাম ছিল কিরানাকার্ট। পরে নাম বদল হয়। অনেকটা গ্রোফার্সের মতোই বিজনেস মডেল। মাত্র ১০ মিনিটে বাড়ির দোরগোড়ায় ডেলিভারি করে এই সংস্থা। এমনটাই দাবি করা হয়।