মানুষের বয়সের হিসাবে ওর বয়স পেরিয়ে গিয়েছে ১২০ বছরেরও বেশি। এহেন বিড়াল ফ্লসি হালে পেল বিশ্বরেকর্ড করার সম্মান। বর্তমানে বিশ্বের প্রবীণতম বিড়াল সে। আর বিড়ালের হিসাবে বয়স? সেটি হল ২৭ বছর।
কী করে অন্যদের থেকে এত বেশি বছর বেঁচে রয়েছে সে? কেমন তার স্বাস্থ্যের হাল? এমনই প্রশ্ন ঘুরছে বহু মানুষের মনেই।
ইংল্যান্ডের বাসিন্দা এই ফ্লসি। বাদামি এবং কালো রং মেশানো ফ্লসির চেহারায় পড়েছে বয়সের ছাপ। দিনের বেশির ভাগ সময়টিই তার কাটে ঘুমিয়ে। কিন্তু তার স্বাস্থ্যের হাল কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরও অবাক করে দিয়েছে সকলকে। দৃষ্টিশক্তি প্রায় আর নেই বললেই চলে। কিন্তু তার পরেও ফ্লসির বাদ বাকি স্বাস্থ্য একদম ঠিকঠাক। সেখানে কোনও রোগের চিহ্ন মাত্র নেই।
২৭ বছরের জীবনে বহু মালিকের সঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছে সে। তার যাত্রাপথ অনেকটা এমন:
- লিভারপুলের এক হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় জন্ম ফ্লসির। সেখানেই ১৯৯৫ সালে জীবনের প্রথম মাসটি কাটায় সে।
- তার পরে হাসপাতালের এক কর্মী তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই ১০ বছর কাটে ফ্লসির। তার পরে সেই ব্যক্তি মারা যান।
- এর পরে ফ্লসির ঠিকানায় হয় মৃত ব্যক্তির বোনের বাড়ি। সেখানে কাটে ১৪ বছর। এর পরে সেই মহিলাও মারা যান।
- মৃতার ছেলের কাছে গিয়ে ওঠে ফ্লসি। সেখানে ৩ বছর কাটে।
- তত দিনে ফ্লসির বয়স অনেক বেড়ে গিয়েছে। ফলে এর পরে তাকে ‘ক্যাটস প্রোটেকশন’-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
- ‘ক্যাটস প্রোটেকশন’-এর থেকে ফ্লসিকে বাড়িতে নিয়ে যান বর্তমান মালিক ভিকি গ্রিন।
ভিকির বক্তব্য, সাধারণত ‘ক্যাটস প্রোটেকশন’ থেকে অল্প বয়সের বিড়ালদেরই মানুষ বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু ভিকি নিজে সব সময়েই বয়স্কদের নিতে চেয়েছেন। কারণ তিনি বয়স্ক বিড়ালদের শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটানোর সুযোগ দিতে চান।