বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > 150 starving cats: মৃত দম্পতির ঘরে ১৫০ অভুক্ত বিড়াল! ‘বাড়ি নয়, নরক’, কী দৃশ্য দেখে গা গোলালো সবার

150 starving cats: মৃত দম্পতির ঘরে ১৫০ অভুক্ত বিড়াল! ‘বাড়ি নয়, নরক’, কী দৃশ্য দেখে গা গোলালো সবার

১৫০ বিড়ালকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

150 starving cats discovered in house where couple is found dead: বহু দিন ধরে কিছু খেতে পায়নি এই ১৫০ বিড়াল। কী করল তারা? মারাত্মক কাণ্ড দেখে অবাক সকলে।

হালে একটি ঘটনা চমকে দিয়েছে সকলকে। একটি ছোট বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ১৫০ বিড়াল। প্রত্যেকে ক্ষুধার্ত, প্রত্যেকে অসুস্থ, প্রত্যেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। কী ঘটেছিল ওই বাড়িতে? কেন এমন বীভৎস অবস্থা? তদন্তে নেমে পুলিশ একে একে আবিষ্কার করেছে মারাত্মক সব সত্যি।

হালে নিউ ইয়র্ক শহরে ঘটেছে এই ঘটনা। সেখানে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে কয়েক দিন আগে। সেই বাড়িতেই পাওয়া গিয়েছে ১৫০-র কাছাকাছি সংখ্যক বিড়াল। প্রতিটি বিড়ালেরই অবস্থা রীতিমতো খারাপ বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

যত দূর জানা গিয়েছে, ৩০ জানুয়ারি ওই বাড়িতে দু’জনের মৃত্যু হয়। কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল, সে সম্পর্কে এখনও ধারণা পরিষ্কার নয়। তবে পুলিশের অনুমান মৃত দু’জন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু যে ঘটনায় সকলে অবাক হয়েছেন, তা হল ওই বাড়িতে থাকা বিড়ালের সংখ্যা দেখে। বাড়ি থেকে বিড়ালের শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখ ওই হাল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছোট বাড়িটির সর্বত্রে বিড়ালে ভর্তি। ঘরদোর তো বটেই, ছাদ, দেওয়ালের ফাটলের মধ্যেও বিড়ালের বাস। তাঁদের ভাষায়, ‘বাড়ি নয়, নরক।’ 

বিড়ালগুলিকে দেখে প্রাথমিক ভাবে অনুমানই করা হয়েছিল, দীর্ঘ দিন তারা খেতে পায়নি। জল পায়নি। তার মধ্যে প্রচুর মেয়ে বিড়ালই অন্তঃসত্ত্বা। এমনকী তাদের কয়েক জনকে উদ্ধার করে খাঁচায় ভরে নিয়ে যাওয়ার পথেই তারা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। প্রচুর বিড়ালের শরীরেরই রয়েছে নানা ধরনের সংক্রমণের। কারও ত্বকে, কারও বা চোখে। সব মিলিয়ে মারাত্মক আকার সেই বাড়ির।

ইতিমধ্যেই বহু বিড়ালকে বাড়িটি থেকে উদ্ধার করা হলেও সবগুলিকে করা যায়নি। কারণ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের কেন্দ্রগুলিতে আর বিড়াল রাখার জায়গা নেই। আপাতত সেই বিড়ালগুলি ওই বাড়িতেই রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের জল এবং খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।

কিছু সংখ্যক বিড়ালকে স্থানান্তিরত করার পরে মৃতদেহগুলিকেও সরানো সম্ভব হয়েছে। যদিও গোড়া বাড়িটি এখনও দুর্গন্ধে ভর্তি এবং সেখানে যাওয়া প্রায় অসম্ভব বলেই জানিয়েছেন সকলে। অনেকেরই ধারণা, দীর্ঘ দিন ধরেই বিড়ালগুলি অযত্নের মধ্যে কাটিয়েছে। ফলে তাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়েছে। দম্পতির মৃত্যুর সঙ্গেও বিড়ালগুলির কোনও সম্পর্ক আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অতগুলি বিড়াল ওই বাড়িতে এল কোথা থেকে, কত বছর ধরে তাদের ওভাবে রাখা হয়েছে, সেটিও দেখা হচ্ছে। 

বন্ধ করুন