কোনও ব্যায়াম নয়, কিছু না। স্রেফ হাঁটুন। হাঁটার থেকে উপকারী এবং ভালো ব্যায়াম আর কিছু হয় না। তাই তো হাঁটাকে "সুপার ফুড অফ অল এক্সারসাইজ" বলা হয়ে থাকে। শরীরের জন্য দারুন উপযোগী এই ব্যায়াম।
এবার ভাবছেন কোন উপকারে লাগবে? তাহলে বলি আপনি যদি ডায়াবিটিসের রোগী হন তাহলে রোজ খাওয়া পর দু'মিনিট হাঁটলেই আপনি দারুন উপকার পাবেন। সুগার লেভেল কন্ট্রোলে থাকবে দু'মিনিট হাঁটলেই।
তবে শুধু হাঁটাই নয়, দাঁড়িয়ে থাকাও সমান ভাবে উপকারী। কিন্তু হাঁটলে যেহেতু সারা শরীরের একটা মুভমেন্ট হয় তাই এটা আরও ভালো। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর হালকা চলাফেরা শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। ‘স্পোর্টস মেডিসিন’ নামক একটি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
লিজা ইয়াং, ডায়েটিশিয়ানের মতে রোজকার রুটিনে যদি খাওয়ার পর দু মিনিট হাঁটার অভ্যাস রাখেন তা ভীষণ ভালো এবং উপকারী। এটা একটি অত্যন্ত সহজ এবং সাধারণ অভ্যাস কিন্তু ফল খুব ভালো দেয়। যদি তিনবেলা খাবার পর হাঁটতে না ইচ্ছে করে তাহলে আপনি রাতে খাবার পর হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
অনেকেই ভাবেন সুস্থ থাকা বুঝি নেহাতই ঝকমারির বিষয়, অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু না, ছোট ছোট সাধারণ পদক্ষেপের মাধ্যমেও ভালো থাকা যায়। নিজেকে ভালো রাখা যায়। এই যেমন, নিয়মিত সবজি খান, হাঁটুন, স্ট্রেস ফ্রি থাকুন, জলদি ঘুমাতে যান, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান এবং জল খান।
এবার দেখে নিন রোজ হাঁটলে কীভাবে সুগার লেভেল আয়ত্তে থাকবে।
খাবার পর, মূলত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার পর শরীর থেকে ইনসুলিন বেরোয় সুগার লেভেলকে কন্ট্রোল করার জন্য। কিন্তু যাঁদের ডায়াবিটিস আছে তাঁদের শরীরে গ্লুকোজ লেভেল বেড়েই থাকে। কমে না। আর দীর্ঘক্ষণ এভাবে সুগার বেড়ে থাকা মানে হার্টের অসুখ হওয়া, একই সঙ্গে চোখের এবং কিডনির সমস্যা হওয়া। আমাদের মাংসপেশি সুগার লেভেল কন্ট্রোলে রাখতে সাহায্য করে। তাই যাঁদের ডায়াবিটিস আছে তাঁরা যদি খাবার পর নিয়মিত হাঁটেন তাহলে তাঁদের সুগার লেভেল কমে যাবে। হাঁটাচলা করলে মাংসপেশি কাজ করে যা বসে থাকলে করে না। তাই খাবার পর ডায়াবিটিসের রোগীদের নিয়মিত হাঁটা উচিত।