হিট স্ট্রোকের কবলে আক্রান্ত দুই হাজার জনেরও বেশি হজযাত্রী। সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষের তরফে এমনটাই জানানো হল সংবাদ মাধ্যম এএফপি-কে। হজ চলাকালীন দৈনিক তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আর তার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই হাজারেরও বেশি হজযাত্রী।
অসুস্থতার সংখ্যা বেশি হওয়ার পিছনে বয়সের কারণও রয়েছে বলে জানায় হজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের কথায়, কোভিড চলাকালীন হজযাত্রীদের বয়সের উর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়া ছিল। কিন্তু এই বছর সেই উর্দ্ধসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বয়স্করাও এইবার হজযাত্রী হয়েছেন। তাদের অসুস্থতার ফলেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। হিট স্ট্রোকের পরিসংখ্যান বলছে, গত বৃহস্পতিবার এক দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০০ ছিল। সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দিনের শুরু থেকে এই দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৭২১। মন্ত্রকের তরফে এই ব্যাপারে সতর্কও করা হয় হজযাত্রীদের। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, রোদ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে ও প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে।
আরও পড়ুন: বর্ষা-গরমের ভ্যাপসা আবহাওয়ায় ত্বকের যত্ন নেবেন কীভাবে, রইল সেরা ৫ উপায়
আরও পড়ুন: রাতেই অক্সিজেন ত্যাগ করে এই গাছগুলি, নাম জানলে আজই টবে লাগাবেন
এ দিকে সংবাদ মাধ্যম এএফপি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা ২৩০ জন হজযাত্রী মারা গিয়েছেন। তাদের মৃত্যুর কোনও স্পষ্ট কারণ অবশ্য জানা যায়নি। তবে ইন্দোনেশিয়ার কনসাল জেনারেলের তরফে জানানো হয়েছে তাদের ২০৯ জন নাগরিক হজের সময়েই মারা যান। তবে সবার মৃত্যুই কি হিট স্ট্রোকের কারণে হয়েছে? এমন ধারণা নস্যাৎ করে দিয়েছে কনসাল জেনারেল। তাদের তরফে বলা হয়, সব হজযাত্রীর মৃত্যু একই কারণে হয়েছে, এমনটা বলা যাবে না। তবে বেশ কিছু যাত্রী হজের সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান, সে খবর মিলেছে। হিটের কারণেই অজ্ঞান হয়ে যান তাঁরা। অন্যদিকে মৃতের পরিসংখ্যানে আলজিরিয়া, মরক্কো ও মিশরের নামও রয়েছে। আলজিরিয়ার আটজন, মরক্কোর চারজন ও মিশরের আটজন হজযাত্রী মারা গিয়েছেন। প্রসঙ্গত এই বছর পরিসংখ্যানের নিরিখেও হজযাত্রা ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ। সব মিলিয়ে ২৫ লাখ মানুষের ভিড় হয়েছে হজযাত্রায়। সৌদি আরবের তরফে ইতিমধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে এক হাজার প্যারামেডিকাল কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও পূণ্যার্থীদের সুবিধার জধ্য ফিল্ড হাসপাতালও গড়ে তোলা হয়েছে।