ম্যালেরিয়া মুক্ত ভারত গড়তে লক্ষ্যের ডেডলাইন ২০৩০ সাল ও তার পরের সময়কাল। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। গত মাসে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেছিলেন, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে ভারত 'অভূতপূর্ব' ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সদ্য আসা এক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, সেখানে ভারতে ওই একই সময়কালে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় কমতি দেখা গিয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে ম্যালেরিয়া কমেছে ৫০ শতাংশ। 'ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল ডাটা' অনুযায়ী এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ২০২১ সালেও পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, হু হু করে নেমেছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেছেন, দেশে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমাতে অভূতপূর্বভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৮৬.৪৫ শতাংশ ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যায় কমতি দেখা গিয়েছে আর ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত মৃত্যু কমেছে ৭৯.১৬ শতাংশ। ২০২১ সালে হু-এর তরফের তথ্যে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের যে ১১ টি দেশে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, সেখানে ভারতই একমাত্র ম্যালেরিয়া রোধে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে। বুদ্ধপূর্ণিমায় কিনে নিন সোনা, বিয়ের কথা বলার জন্যও আজ শুভদিন! কিছু জ্যোতিষ টোটকা
গতবছর ভারতের ১২৪ টি জেলা ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ হয়নি বলে ঘোষিত হয়েছিল। এরপর বাকি রাজ্যগুলিতেও সচেতনতা ঘিরে বার্তা ছড়িয়ে দিতে তৎপর কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন,' ২০৩০ সালের মধ্যে জিরো ম্যালেরিয়া অর্জন করা আমাদের লক্ষ্য।' উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে ভারতে ম্যালেরিয়া মুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ডেডলাইন ২০৩০ রাখা হয়। যে লক্ষ্যের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, যে সমস্ত জায়গায় জিরো ম্যালেরিয়া ঘোষিত হয়েছে, সেখানে যেন ফের একবার সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশে যেখানে একটা সময় প্রবল ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা যেতে , তা সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটাই কমেছে। এক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ার ওষুধ যাতে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়,তর বিষয়ে তৎপরতা নিচ্ছে সরকার। এছাড়াও ম্যালেরিয়া রোধে প্রয়োজনীয় নজরদারি নেওয়া হচ্ছে। মশা নিধনে জমা জল সরানো, স্প্রে করার মতো পদক্ষেপ ঘিরেও রয়েছে তৎপরতা।