বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Durga Puja: ২২২ বছরের জীবন্ত ইতিহাস! দেবীর সঙ্গে পুজো হয় অস্ত্রের

Durga Puja: ২২২ বছরের জীবন্ত ইতিহাস! দেবীর সঙ্গে পুজো হয় অস্ত্রের

দুর্গাপুজোর ইতিহাস

Durga Puja: ২২২ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই দুর্গাপুজো। মালদহের রায় বাড়িতে আজও পুজো করা হয় অস্ত্রের। সঙ্গে দেবী দুর্গা তো আছেনই। আর কোন ইতিহাস জড়িয়ে আছে?

জেলার পুজোর উপর অনেকেরই বিশেষ আকর্ষণ থাকে। যাঁরা দুর্গাপুজোর কদিন চুটিয়ে ঠাকুর দেখেন, তাঁদের অনেকেই একটা দিন অন্তত বরাদ্দ করে রাখেন জেলার পুজো দেখার জন্য। আর জেলার পুজো অনেক সময়ই জড়িয়ে থাকে কোনও না কোনও রাজবাড়ি বা জমিদার বাড়ির পুজোর সঙ্গে। আর রাজবাড়ির পুজো মানেই যেন জীবন্ত ইতিহাস! মালদহের রায়বাড়িও তার ব্যতিক্রম নয়।

মালদহের রায় বাড়িতে দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো করা হয় অস্ত্রেরও। তবে যতই অস্ত্র পুজো করা হোক, এই বাড়িতে কোনও বলিপ্রথা নেই। ২২২ বছর ধরে এই একই প্রথা চলে আসছে। তিলাসনে অবস্থিত এই রায় জমিদারবাড়ি। এই পুজোর শুরু হয় কীভাবে জানেন? শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়।

এই বাড়ির পুজোর সূচনা হয় রথের দিন। সেদিনই কাঠামো পুজো হয়। তারপরই শুরু হয় দেবী মূর্তি গড়ার কাজ। সপ্তমীর দিন নাপিত গঙ্গাজল ছিটিয়ে রাস্তা শুদ্ধ করে নিয়ে যান এই পরিবারের সদস্য এবং চারজন ব্রাহ্মণকে। জল ভরে আসার পথে নদী থেকে বাড়ি আসার মধ্যে এই পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। শুরু হয় পুজো।

ডাল ব্যবসা করার জন্য উত্তর প্রদেশ থেকে অবোধ নারায়ন রায় এসেছিলেন এই বাংলায়। পরে তিনি বিপ্লবীদের পরামর্শে শুরু করেন এই পুজো। সেই তিন বিপ্লবী ছিলেন সন্ন্যাসী বিদ্রোহের তিন সদস্য, যাঁরা মালদহের এই জঙ্গলে এসে লুকিয়ে ছিলেন। তাঁরাই অবোধ নারায়ন রায়কে এই পুজোর পরামর্শ দেন। তিনি সিঙ্গাবাদ স্টেশনে ডাল নিয়ে ব্যবসা করতেন। আগে এখানে বিশাল জঙ্গল ছিল। হামেশাই শিকারে যেতেন এই বাড়ির সদস্যরা। অষ্টম এডওয়ার্ড এসেছিলেন এই বাড়িতে।

মৈথিলী ব্রাহ্মণরা এই সময় আসেন এই বাড়িতে তাঁরাই ভোগ রান্না করেন এই পুজোর। করেন বাকি সমস্ত কাজ।

মালদহের এই রায় বাড়ির পুজো অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। রয়েছে নানান গল্প। ২২২ বছরের পুরনো এই পুজো আজও অমলিন। আজও একই ভাবে পালন করা হয় থাকে এই পুজোর সমস্ত রীতিনীতি।

বন্ধ করুন