চোখের নিমেষে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে চাঁদিপুরা ভাইরাস। জুলাই মাসে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গেছে, গুজরাটে ১৪ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৮ জন শিশু মৃত্যু হয়েছে চাঁদপুরা ভাইরাসে। গত বুধবার এই রিপোর্ট রাজ্য বিধানসভাকে জানিয়েছেন গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুশিকেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, গুজরাটে এখনও পর্যন্ত ১৬৪ জন ভাইরাল এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা চাঁদিপুরা ভাইরাস সহ নির্দিষ্ট কিছু রোগ জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট হয়। এখনও পর্যন্ত ১০১ জন শিশু মারা গেছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, এখনও পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ১৬৪ টি মামলার মধ্যে ৬১জন চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যেহেতু এই ভাইরাসটি স্যান্ড ফ্লাই বাহিত রোগ, যেটি মাটির ঘরের ফাটলে বেশি বাসা বাঁধে, তাই বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এই ভাইরাসের পাদুর্ভাব বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
(আরও পড়ুন: ইনস্ট্যান্ট কফিতে মন মজেছে আপনার? নিজের কতটা ক্ষতি করছেন সেটাও জানুন)
তবে স্যান্ডফ্লাই ছাড়াও এই রোগটি মশা এবং বিভিন্ন পোকামাকড় দ্বারাও বাহিত হয়। সাধারণ ভাইরাসের মতোই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, মাথা ব্যথা হতে পারে। তবে পরিস্থিতি গুরুতর হলে মানুষ কোমাতেও চলে যেতে পারে।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গুজরাটে ৭৩ জন ভাইরাল সংক্রমণের কারণে মারা গেছেন, চাঁদিপুরা ভাইরাসের জন্য মারা গেছেন ২৮ জন। এই মুহূর্তে ৬৩ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সন্দেহে, সবাইকে ছেড়ে দিলেও এখন চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত সপ্তাহে নতুন কোনও মামলার খবর পাওয়া যায়নি এবং গত ১২ দিনে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। গুজরাটের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত অঞ্চলে সমীক্ষা শুরু করেছেন, যেখান থেকে চাঁদিপুরা ভাইরাসের কেস বেশি উঠে এসেছে।’
(আরও পড়ুন: শরীরে ৬৩১ জন সৈনিকের নামে ট্যাটু, নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে)
প্রায় ৭ লক্ষের বেশি মাটির বাড়িতে কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য। যেহেতু এই রোগ বেশি শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে তাই ৪০ হাজার স্কুল এবং ৩৬ হাজার অঙ্গনওয়াড়িতে তরল কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দাবি জানিয়েছেন গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।