শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো চ্যালেঞ্জের বিষয়। এই মরশুমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নানান সবজি ও ফল খেয়ে থাকি আমরা। কিন্তু গম ছাড়া অন্যান্য শস্যের আটার রুটিও শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
শীতকালে গম ছাড়াও অন্যান্য নানান শস্যের আটা পাওয়া যায়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। এর সাহায্যে শরীরকে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচানো যায়। এই আটার রুটি খেতে যেমন সুস্বাদু খেতে, তেমনই শীতকালে শরীরও গরম রাখে। এখানে কয়েকটি আটার উল্লেখ করা হল, যা অত্যন্ত স্বাস্থ্যোপযোগী।
বাজরার আটা- বাজরার আটা গ্লুটেন মুক্ত হয়। তাই কারও গমের আটায় অ্যালার্জি থাকলে বাজরার আটা খেতে পারেন। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, ফাইবার ও পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ এই আটা। শীতকালে বাজরার আটার রুটি অধিক স্বাস্থ্যোপযোগী। এটি শরীর গরম রাখে।
জোয়ারের আটা- আইএফটি অনুযায়ী জোয়ার একটি প্রাচীন শস্য। সাধারণত হলুদ বা সাদা রঙের হয়ে থাকে এই আটাটি। তবে কোনও কোনও প্রজাতির জোয়ার লাল, বাদামী, কালো বা বেগুনী রঙেরও হয়। জোয়ারও গ্লুটেন মুক্ত আটা। পাচন তন্ত্রের জন্য অধিক উপকারী এই আটা। পাশাপাশি আমাদের শরীর গরম রাখতেও সাহায্য করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে উপযোগী জোয়ারের আটা।
রাগীর আটা- গমের আটার উৎকৃষ্ট বিকল্প হল রাগীর আটা। বাদামী রঙের এই আটাটি খুব তাড়াতাড়ি রান্না করা সম্ভব। ওজন কম করতে সহায়ক হয় রাগীর রুটি। ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ রাগীকে অধিকাংশ সময় মাল্টিগ্রেন আটার সঙ্গে মেশানো হয়।
কুট্টুর আটা- সব মরশুমেই কুট্টুর আটা পাওয়া যায়। তবে শীতকালে এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে অধিক উপকারী। এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন বি২, রাইবোফ্লোবিন ও নিয়াসিন থাকে। কুট্টুর আটাকে শুদ্ধ মনে করা হয়। তাই উপবাসে এটি খেয়ে থাকেন অনেকে। এই আটার রুটি প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বস, ফাইবার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম ও আয়রনের উল্লেখযোগ্য উৎস। শীতকালে এই আটা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।